গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়ন বাতিলের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি মনে করি এখানে নির্বাচন কমিশনারের যে নিরপেক্ষতা ছিলো, তা থেকে তারা সরে গেছে। কোনো অদৃশ্য চাপে সরে গেছে, এটা আমি জানি। আমি ন্যায় বিচার চাই। আপিল করবো, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে যাবো। আমি সবশেষ লড়াই করে যাবো।’
রোববার (৩০ এপ্রিল) জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় বঙ্গতাজ মিলনায়তনে অবস্থিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ঋণ খেলাপির দায়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তবে তার মায়ের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে জানিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, যেহেতু ব্যাংক টাকা পাবে, ব্যাংকে টাকা দেওয়া হয়েছে।তবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) নাম দিয়ে আমার নমিনেশন বাতিল করেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। গাজীপুরের মানুষকে রক্ষা করতে চাই। দেশবাসীর কাছে জানতে চাই একজন প্রার্থী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে, আমি ন্যায় বিচার পেতে পারি কী না? সেজন্যে আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমি চাই নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার মধ্যে যেনো কাজটা করে। আমি অবশ্যই আপিলে যাবো। আমি এটার সবশেষ দেখবো।’
জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি গার্মেন্ট কারখানার ঋণের গ্যারান্টার ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। ওই প্রতিষ্ঠানটি ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে গ্যারান্টার হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়।’
২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার টিকিটে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। দুই বছর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। এরপর মেয়র পদও হারান। তবে গত ১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরকে দলে ফিরিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তিনি।
টিএইচ