সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

পঞ্চগড়ে পুলিশ-মুসল্লি সংঘর্ষে একজন নিহত, বিজিবি মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পঞ্চগড়ে পুলিশ-মুসল্লি সংঘর্ষে একজন নিহত, বিজিবি মোতায়েন

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভকালে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লি দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (৩ মার্চ) জুমার নামাজের পর এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় একজন মুসল্লি  নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মুসল্লি। 

শুক্রবার প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পঞ্চগড় শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

পঞ্চগড় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাজেদুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আরিফ মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রংপুরে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত আরিফ পঞ্চগড় পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ার ফরমান আলীর ছেলে।

বিক্ষোভকারীরা শহরে অবস্থিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও ট্রাফিক অফিসে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জুমার নামাজের পর স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের শত শত মুসল্লি শেরেবাংলা নগর পার্ক এলাকায় অবস্থান নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময়  বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এসে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কে অবস্থান নেন এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।

একপর্যায়ে তাদের অবস্থান বিক্ষোভে রূপ নেয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। বিক্ষুদ্ধ লোকজনও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হন।
 
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের পাশাপশি বিজিবি ও র‌্যাবের টহল অব্যাহত রয়েছে।

টিএইচ