নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় মাঠে মাঠে আমন ধানের শিষ বের হতে শুরু করেছে। কিন্তু এর মধ্যেই ধান খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
এতে বিপাকে পড়েছেন অনেক চাষি। এতে দেশীয় নানা রকম কৌশলের পাশাপাশি সর্বশেষ পটকা ফুটিয়ে ইঁদুর তাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার নজিপুর পৌর এলাকাসহ ১১টি ইউনিয়নে মোট ২৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যার অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার ২১০ হেক্টর। আর জাতগুলো হলো- বি-ধান (৭৫, ৮৭, ৯০, ৯৫) বিনা-(১৭, ৩৪, ৯৫) স্বর্ণা, জিরা, পারিজা, হাই ব্রিডের মধ্যে- এরাইজ, ধাণী গোল্ড, স্থানীয় চিনি আতব ধান উল্লেখযোগ্য।
উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের ধানখেত ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা ইঁদুরের উপদ্রব হতে ধান রক্ষা করতে খেতের মধ্যে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে তাতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ (কল) তৈরি করে রেখেছেন। যেসব এলাকার জমি নিচু, সেখানে ইঁদুরের আক্রমণ তুলনামূলক বেশি হচ্ছে।
উপজেলার ঘোষনগর ইউপির উত্তরদুর্গাপুর গ্রামের চাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি ১৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখনও ধানের শিষ বের হচ্ছে। এ অবস্থায় খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেয়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কীটনাশক ছিটিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এখন তিনি খেতের মধ্যে পলিথিন বেঁধে দিয়েছেন।
বাতাসে কাগজ উড়লে পটপট শব্দ হয়। আর সেই শব্দ শুনে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তিনি আরও জানান, রাতের আঁধারে পটকা ফুটায়ে ইঁদুর তাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ‘ইঁদুর দমনের জন্য উত্তম উপায় হলো- খেতে এমন কিছু ব্যবস্থা করা যাতে সর্বক্ষণ শব্দ হয়। এতে ইঁদুরের কবল হতে চাষিরা খেতের ক্ষতির মুক্তি পাবে।
টিএইচ