বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post
বৈশাখ ও ঈদ সামনে রেখে

পত্নীতলায় দর্জিপাড়ায় দমফেলার ফুসরত নাই

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি 

পত্নীতলায় দর্জিপাড়ায় দমফেলার ফুসরত নাই

দুয়ারে কড়া নাড়ছে হাজার বছরের বাঙালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ। আর সপ্তাহ পরই আসছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। মুসলমানদের ধর্মীয় মহাখুশির দিন। তাই পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নতুন জামা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁর পত্নীতলায় দর্জিপাড়ার কারিগররা। 

যারা নিজেদের পছন্দমতো পোশাক পড়তে চান, তারা ভিড় করছেন উপজেলা সদর নজিপুর পৌর মার্কেটগুলোর নামী-দামী দোকান থেকে আরম্ভ করে পাড়া-মহল্লার দর্জির দোকানগুলোতে। নজিপুর সদরের মোল্লা মার্কেট, আর্শীবাদ বিপণী মার্কেট, বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে টেইলার্সের কারিগররা পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

সঠিক সময়ে পোশাক ডেলিভারি দেয়ার জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন এসব কারিগররা। তারা শার্ট-প্যান্ট, ব্লাউজ, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবী, থ্রি-পিস ও ম্যাকা্রিসহ বিভিন্ন ধরণের পোশাক তৈরি করছেন। 

মোল্লা মার্কেট এর শিল্পী টেইলার্সের জামা তৈরি করতে আসা উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের কহিনূর বেগম বলেন, “সামনে ঈদ তাই নিজের ব্লাউজ, স্বামীর পাঞ্জাবী ও দুই কন্যা সন্তানের জামা-কাপড় বানাতে এসেছি। একটু আগে ভাগে কাপড় তৈরি করতে না দিলে ঈদের আগে পাওয়া যাবে না। 

তাই ইচ্ছেমতো মাপ অনুযায়ী বানাতে দিলাম দর্জির কাছে এসে। এই জন্য টেইলার্সে এসেছি।” আবার কেউ রেডিমেট কাপড় কিনে ফিটিং সেন্টারে গিয়ে মাফ দিয়ে ইচ্ছে মতো ফিটিং করে নিচ্ছেন পছন্দের জামা। 

প্রিন্স টেইলার্সের কারিগর আব্দুল জলিল জানান, “সারা বছরই তাদের টুকটাক কাজ থাকে, তবে বিশেষ দিনগুলোকে কেন্দ্র করে কাজের চাপ বেশি থাকে। বিশেষ করে রোজার ঈদে পোশাক তৈরির কাজ অনেক হয়। করোনার কারণে আমাদেরকে দুই বছর মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে। আয় তেমন ছিল না। এবার কাজ বেশ ভালো। 

আর.এস টেইলার্সের কাটিং মাস্টার রবিউল ইসলাম বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে মানুষ নতুন নতুন ডিজাইনের জামা বানাচ্ছেন। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদের পছন্দের পোশাক তৈরি করতে। সঠিক সময়ে পোশাক ডেলিভারি দেয়ার জন্য এখন আমাদের রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে।”

টিএইচ