সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

পদ্মার তীরবর্তী এলাকাসহ রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে চারঘাট উপজেলাবাসী

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি

পদ্মার তীরবর্তী এলাকাসহ রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে চারঘাট উপজেলাবাসী

রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নেতিবাচক তথ্যগুলো দেখে আতঙ্কিত চারঘাট উপজেলাবাসী। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজগামী কোমলমতি শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী ও কৃষকরা। তবে বন্যপ্রাণি দপ্তররের তথ্যমতে, রাসেল ভাইপার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। এই সাপ শান্ত প্রকৃতির এবং তেড়ে গিয়ে কামড় দেয় না। 

চারঘাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড থানাপাড়া গ্রামের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী স্নেহা বলেন, আমি গত কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় রাসেলভাইপার সাপ নিয়ে এত পরিমান ভিডিও দেখেছি যে এখন আমি একা ঘুমাতে পারি না। ঘুমালে মনে হয় সাপ তেড়ে আমাকে কামড় দিচ্ছে। 

পিরোজপুর গ্রামের কৃষক হেজবুথ বলেন, কৃষিক্ষেতে ধান কাটতে কৃষকরা ভয় পাচ্ছেন। তবে কোন ব্যক্তিকে সাপে কাটলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত সেবা পাওয়া যায় এবং প্রতিশোধক এন্টিভেনম যেন পাওয়া যায় সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।  

এটা সত্য যে, আমরা সকলেই আতঙ্কিত তবে আমাদের আরও বেশি সাবধনতা অবলম্বন করা দরকার এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার যাতে করে এই সাপ কাছে আসলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি বলে জানিয়েছেন সরদহ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাজদার রহমান। 

উল্লেখ্য : গত কয়েক দিনে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা ও  কুঠিপাড়া সংলগ্ন নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে প্রায় ১৬টি এই সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়। গত কয়েক মাসে উপজেলায় দুজন এই সাপে দংশিত হয়েছেন যার মধ্যে মোক্তারপুর গ্রামের রাজশাহী ইউনিভার্সিটির একজন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় এলাকাবাসী। 

জেলা বণ্যপ্রাণি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, রাসেল ভাইপারের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে এর বৈজ্ঞানিক কোন তথ্য নয়। তবে সাপের সংখ্য বৃদ্ধি পেতে পারে। কৃষিজমিতে ফলন বেশি হলে ইঁদুরের সংখ্যা বা বংশ বিস্তার স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সাপের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ইঁদুর। যার কারণে সাপ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে এবং তাদের বংশ বিস্তার বেশি হচ্ছে। 

টিএইচ