শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

পরিত্যক্ত ভবনের সংস্কার না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পরিত্যক্ত ভবনের সংস্কার না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৪৭নং টেংরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণের ৩৪ বছরেও হয়নি কোনো সংস্কারকাজ বা লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। ভবনের দেয়াল এবং ছাদে ফাটল ধরায় ও জরাজীর্ণ হওয়ায় প্রায় পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে এটি। তাই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। 

সাম্প্রতিক সময়ে হরিপুর উপজেলায় বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন হলেও ৬নং ভাতুরিয়া  ইউনিয়নের ৪৭নং টেংরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রয়ে গেছে অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায়। ফলে দিনের পর দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এটি। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। 

সূত্রমতে, ১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে একটি ভবন নির্মিত হয়। ভবনটি নির্মানের ৩৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কার বা উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি বিদ্যালয়টিতে। শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্লাস করতে এসে আমাদের ভয় আর আতঙ্কে থাকতে হয় কখন যে ওপর থেকে আস্তর খসে পড়ে! ছাদের আস্তর খসে পড়ে বিমের রড দেখা যাচ্ছে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঝুঁকি এড়াতে আমাদের মাঠে ক্লাস করান শিক্ষকরা।

স্কুলের ৩য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা মকলেছুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়টি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর পর বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত খুবই চিন্তিত থাকতে হয়। তাই আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি বিদ্যালয়টিকে দ্রুত সংস্কার করার।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজালাল বলেন, ‘বিদ্যালয়ে যোগদানের প্রায় ৩৪ বছর অতিক্রম হয়েছে। ২০১৬ সালে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন কিন্তু তা আজ পর্যন্ত মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। 

ভবনের নাজুক অবস্থা দেখে উপজেলা শিক্ষা বিভাগে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন করেছি; কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। বিদ্যালয়ে এসে সব সময়ই চিন্তিত থাকি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার। বিদ্যালয়ের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি সভাপতি হয়ে ব্যর্থ হয়েছি তা বলব না। আমার পূর্বেও যারা ছিলেন, তারাও বহু চেষ্টা করেছেন। তারপরও ফলাফল আসেনি।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আজিজার রহমান বলেন, ‘৪৭ নং টেংরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যালয়টি সংস্কারের ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।

টিএইচ