রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

পর্যটকের পদচারণায় মুখর মিরসরাই

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

পর্যটকের পদচারণায় মুখর মিরসরাই

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ঝরনা দেখতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উপজেলার খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া, রূপসী, বোয়ালিয়া, বাওয়াছড়া ঝরনায় দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন লোকজন। বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর ঝরনায় গা ভেজানো মিস করছেন না ভ্রমণপিপাসুরা।

গত বুধবার ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকে ঝরনাগুলোতে যেন মানুষের ঢল নামে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, বাস, মাইক্রো, প্রাইভেট কার, লেগুনা। গাড়ি ভাড়া করে আবার অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও এসেছেন। আবার দলে দলে বিভিন্ন বাসযোগে লোকাল যাত্রী হিসেবে এসেছেন অনেক পর্যটক। সবার গন্তব্য ঝরনায়।

জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে ঝরনার সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ এসব পাহাড়ি ঝরনা।

সারি সারি দূরপাল্লার বাস দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে ঝরনায় যাওয়া পর্যটকদের জন্য। ঝরনার প্রবেশমুখগুলো কানায় কানায় পূর্ণ। কেউবা ঝরনায় যাচ্ছেন কেউবা ঝরনার যৌন্দর্য উপভোগ করে ফিরছেন আপন নীড়ে। তুলনামূলক বেশি পর্যটক চোখে পড়েছে খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া ও রূপসী ঝরনায়।

ঢাকা থেকে খইয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসা আব্দুল মমিন রাজু, শাফাত ইসলাম নামের দুই পর্যটক বলেন, আমরা ২০ জন বন্ধু খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে এসেছি। ঈদের ছুটি হওয়ায় আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরেছি। বর্ষার মৌসুমে ঝরনা ফিরে তার চিরচেনা রূপে। তাই ঈদে ঘুরার আমাদের প্রধান পছন্দ ছিল ঝরনা। তাই ঝরনা দেখতে এখানে ছুটে এসেছি। বৃষ্টিতে ঝরনায় যাওয়া একটু ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সাবধানতার সঙ্গে আমরা ঘুরেছি।

চট্টগ্রাম থেকে নাপিত্তাছড়া ঝরনায় ঘুরতে আসা মিল্টন সাহা নামের এক পর্যটক বলেন, মিরসরাই সব ঝরনা মোটামুটি দেখা হয়ে গেছে। শুধু নাপিত্তাছড়া ঝরনায় ঘুরতে পারিনি। এবার ঈদের ছুটিতে নাপিত্তাছড়া ঝরনায় ঘুরতে এলাম। খুব ভালো লাগছে আমরা চট্টগ্রাম থেকে একটি বাস ভাড়া করে এসেছি। আমাদের গ্রুপে প্রায় ৩০ জন রয়েছে। সবাই খুব উপভোগ করেছে।

রূপসী ঝরনায় ঘুরতে আসা স্কুলশিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, রূপসী ঝরনার কথা অনেক শুনেছি। এবার প্রথম এসেছি, খুব ভালো লাগছে। আটজন বন্ধু সারাদিন আনন্দ করেছি।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, বৃষ্টিতে ঝরনায় পর্যাপ্ত পানি থাকায় পর্যটক বাড়ে। তার মধ্যে ঈদের ছুটি থাকায় এবার আরও বেড়েছে। পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে আসা-যাওয়ার করতে বলা হয়েছে। গাইড ছাড়া কেউ যেন ঝরনায় যেতে না পারেন, সে বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া আছে।

টিএইচ