রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

পর্যটন শহর কাপ্তাইয়ে যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

পর্যটন শহর কাপ্তাইয়ে যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ

যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দিন দিন সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে পর্যটন শহর হিসেবে খ্যাত রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন কাপ্তাই উপজেলা। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মনুষ্য সৃষ্ট বর্জ্যের কারণে এলাকার সৌন্দর্য্য বিনষ্ট হচ্ছে। 

তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা, গবাদি পশুর আবর্জনা, পর্যটন এলাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলাসহ মনষ্য সৃষ্ট এসব বর্জ্য যথাসময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় উপজেলার অনেক স্থানে ময়লার ভাগড়ে পরিণত হয়েছে। এসব ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে চলাচলরত মানুষজনকে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সমপ্রতি কাপ্তাই উপজেলার জেটিঘাঁ বাজার, নতুন বাজার, নতুন বাজারস্থ ঢাকাইয়া কলোনী, বরফ কল এলাকা, নতুন বাজার পাবলিক টয়লেট এলাকা, বিএফআইডিসি সংলগ্ন এলাকা, চিৎমরম কিয়াংঘাঁ, ব্যাঙছড়ি, বনফুল রেস্ট হাউজেরসহ বেশ কিছু এলাকার সামনে ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব হয়ে রয়েছে।

উল্লেখিত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা যথাসময়ে পরিষ্কার না করায় এলাকায় দূর্গন্ধে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এসব বর্জ্যের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অনেককে নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, নিয়মিত বর্জ্যগুলি পরিষ্কার না করায় ঝড়-বৃষ্টিসহ নানাভাবে ময়লাগুলো হ্রদ বা নদীতে পড়ছে। এতে পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত কাপ্তাইয়ের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য ও কাপ্তাই হ্রদ এবং কর্ণফুলী নদীর পানি নষ্ট হচ্ছে। নদী ও হ্রদে মাছের বংশ বিস্তারে বাধাগ্রস্ত এবং বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন কমছে। ফলে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামাসহ জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এ ব্যাপারে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, কাপ্তাই ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন স্থানের ময়লা-আবর্জনা গুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য একটি বর্জ্য পরিবহনের গাড়ি ও কিছু ড্রাম দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মানুষ এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে এলাকাকে নোংরা করছে। এলাকার স্বার্থে নিয়ম ভঙ্গকারীদের নিয়ম মানতে প্রয়োজনে বাধ্য করা হবে বলে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

এব্যাপারে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় আবর্জনা ফেলার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

কাপ্তাই উপজেলার আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক রনি জানান, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে এলাকার যেমন সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই। তাই ময়লা আবর্জনা অপসারণে এবং এলাকার সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।।

টিএইচ