জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর পার্কসহ উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলো ছিলো ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রাত্যহিক জীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে একটু আলাদা আমেজে সময় কাটাতে উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকেও ছুটে আসে নারী-পুরষ, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঈদের ৩য় দিন পর্যন্ত পারিবার পরিজন নিয়ে অতীত সমৃদ্ধ স্মৃতির সান্নিধ্যে ছুটি কাটাতে পেরে আনন্দিত দর্শনার্থীরাও।
গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহ আর গরমে জনজীবন দূর্বিসহ হলেও ঈদের দিন বৈকাল থেকে আনন্দ উদযাপনে দর্শনার্থীদের উপজেলার পৌর পার্ক, পাথরঘাটা, লকমা জমিদারবাড়ী ও আটাপাড়া বেইলি ব্রিজ এলাকায় দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হতে থাকে। এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলা থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ।
উপজেলায় ভালমানের দর্শনীয় স্থান না থাকায় বিনোদনের একমাত্র স্থান হিসাবে এ স্থানগুলোতে স্ব-পরিবারে ভ্রমণ করার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে এ উপজেলার লোকজনসহ আশপাশের এলাকার মানুষেরা। উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে এই স্থানগুলোই অন্যতম। এই স্থানগুলোতে ঘুরতে আসলে বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা পরিচিত মুখগুলোর সাথে দীর্ঘদিন পরে দেখা হয়ে যায় অনেকেরই।
অপরদিকে পাঁচবিবি পৌরমেয়র হাবিবুর রহমান হাবিবের সার্বিক সহযোগিতায় এবং স্থানীয় থিয়েটার ও ভোর হলো সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে দর্শনার্থীদের বাড়তী বিনোদন দিতে পৌর পার্কে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের। ফলে ঈদের দিনের ভিড় এক ধরনের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
উপজেলার বাগজানা গ্রাম থেকে আসা সোনালী আক্তার জানান, আমি ঢাকায় চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে দূর দূরান্তে বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ হয় না। তাই একটু বিনোদনের জন্য এখানে আসা। ছোট্ট পরিসরে এখানে ভাল বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য পার্কের ব্যবস্থা অনেক ভালো। বিশেষ করে পৌর পার্কে নাগরদোলা, ঘোড়া, দোলনাসহ বিভিন্ন শিশু খেলনার ব্যবস্থা থাকায় শিশুরা পরম আনন্দে মেতে উঠে।
উপজেলার কড়িয়া গ্রামের জোহা বলেন, দীর্ঘ এক মাস রোজার পর ঈদের দিন পার্কে অনুষ্ঠান হচ্ছে তাই পার্কে ঘুরতে এসেছি অনেক আনন্দ হচ্ছে। আয়মারসুলপুর এলাকার তাবাসুম মিম জানায়, ঈদের দিন পার্কে অনেক খেলনা রয়েছে, খাবার দোকান রয়েছে, ঘুরতে এসে খুব মজা হচ্ছে।
টিএইচ