হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে চার ট্রাক কাঁচামরিচ। কোরবানির ঈদের টানা ছয় দিন ছুটি শেষে গত ২৭ জুন শুরু হয় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। সরকারের অনুমতি পাবার পর বন্দর চালুর প্রথম দিনই এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির কথা থাকলেও তা আর হয়নি। দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে যাওয়ায় লোকসান শঙ্কায় মরিচ আমদানি করা থেকে বিরত থাকেন আমদানিকারকরা।
অবশেষে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার ট্রাক কাঁচামরিচ বন্দরে প্রবেশ করে। তার মধ্য সততা বাণিজ্যালয় দুই এবং শম্পা ও বিকে ট্রেডার্স দুই ট্রাক কাঁচামরিচ আমদানি করেছে। এসব ট্রাকে কাঁচা মরিচ এসেছে ২৯ টন ৬৮০ কেজি।
আমদানি করা এসব কাঁচামরিচ টনপ্রতি ৩২ হাজার ৭০০ টাকা শুল্ককর দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
তবে মরিচ আমদানির পর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমদানিকারকরা। বন্দরে কোনো ধরনের পাইকার না থাকায় বন্দর থেকে নিজেরাই আমদানি করা এসব মরিচ রাজধানীসহ অন্যান্য জেলা শহরের মোকামে পাঠাচ্ছেন।
পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় ছুটি কাটিয়ে বন্দর চালু হবার পর বন্দরে কাঁচামরিচের পাইকার ও ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরপুর ছিল। তবে বুধবার (৫ জুলাই) আমদানি হবে, কাল হবে— এমন তালবাহানায় পাইকাররা অন্য স্থলবন্দর থেকে কাঁচামরিচ কেনা শুরু করেছেন। এতে আমদানির প্রথম দিনে বিপাকে পড়েছেন মরিচ আমদানিকারকরা।
তবে বুধবার (৫ জুলাই) প্রথম কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় আগামী দিনে পর্যাপ্ত মরিচের পাইকার ও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা আমদানিকারকদের।
আমদানীকারক লিয়াকত আলী বলেন, গত কদিন পাইকার ছিল। তবে মরিচ আমদানি সম্ভব হয়নি। আজ (বুধবার) আমদানি হয়েছে তো পাইকার বা ক্রেতা নেই। নিরুপায় হয়ে এখন নিজেরাই বিভিন্ন মোকামে কথা বলে মরিচগুলো বাজারজাত করছি।
এদিকে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছুটি শেষে বুধবার প্রথম বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ এসছে। আমরা দ্রুত সময়ে শুল্কায়ন করে ছাড় দিচ্ছি। শুল্কায়ন শেষে এসব মরিচ বন্দর থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে।
টিএইচ