বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজে অতিষ্ঠ বরগুনার পাথরঘাটার পল্লী বিদ্যুতের ৫২ হাজার গ্রাহক। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অভিযোগ করলে বারবার ৩৩ কেবির সমস্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নিয়মিত লোডশেডিং অন্যদিকে বিদ্যুৎ থাকলেও লো-ভোল্টেজ।
এ দুইয়ের ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে গত বুধবার রাতে পাথরঘাটা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
গ্রাহকরা জানান, আকাশ কালো হলেই বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকাকালীন অবস্থায় পল্লী বিদ্যুতের নাম্বারে ফোন দিলে তা কখনো রিসিভ হয় না। যদিও রিসিভ হয় তাহলে বলে ৩৩ কেভি সমস্যা। এই তেত্রিশ কেবি যেন পাথরঘাটা উপকূলবাসীর গলায় কাটা।
পাথরঘাটা পৌরশহরের মেহেদী হাসান শিকদার জানান, প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে দিনে যে কতবার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে তার অন্ত নেই। অপরদিকে লো-ভোল্টেজের কারণে এখানকার বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র প্রতিনিয়তই নষ্ট হচ্ছে। গিয়াস উদ্দিন জানান, ৩৩ কেভি সমস্যার নাম করে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের লাইন বন্ধ থাকে।
অফিসে ফোন করলেই বলে ৩৩ কেভি তে সমস্যা। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা না হলে পল্লী বিদ্যুৎ বয়কট করার ঘোষণা দেন গ্রাহকরা।
পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের তথ্যানুযায়ী পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাথরঘাটা জোনাল অফিসের আওতায় একটি সাবস্টেশনের ৬টি ফিডারে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী কিছুটা কম মেগাওয়াট পাওয়া গেলেও লো ভোল্টেজ থাকার কথা স্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ।
পাথরঘাটা জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহাম্মদ আব্দুস সালাম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন সময়ে ৩৩ কেবির লাইন ফল্ট হওয়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখতে হয়।
এছাড়াও পিক আওয়ারে অতিরিক্ত লোডের কারণে লো ভোল্টেজ দেখা যায়। পাশাপাশি যানবাহন ও জনবলে ঘাটতি থাকার পরও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করি। তাছাড়া সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
টিএইচ