বরগুনার পাথরঘাটায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষ মারমুখী অবস্থায় শহরে অবস্থান নিলে উত্তেজনা বিরাজ করে।
এসময় পুলিশ ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা উভয়কে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। গত শুক্রবার পাথরঘাটা শহরে সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আহমেদ ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুল্লাহর গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহ্বায়ক মামুন আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে হাসিবুল্লাহসহ তার সমর্থকরা। বিভিন্ন স্থান তাদের বিরুদ্ধে দখলদারি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিরের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জামালের ছত্রছায়ায় এগুলো করে বেড়াচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুল্লাহ বলেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ সাহজাদার একনিষ্ঠ বন্ধু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আহমেদ। মামুন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আসছে। এদের দ্বারা দলের সিনিয়র নেতারা অপমানিত হচ্ছে। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. সগির হোসেন লিয়ন সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মৌনদন্দ্ব চলছে। এর জের ধরে গত শুক্রবার পাথরঘাটা শহরে লিকার পট্টি এলাকায় মামুন ও হাসিবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, দুই গ্রুপের ভুল বোঝাবুঝির কারণে সন্ধ্যায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা সিনিয়ররা উভয় পক্ষকে শান্ত করে সরিয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে বসে সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার পাথরঘাটায় যোগদান করেছি। সন্ধ্যার পরে ছাত্রদলের উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানায় কোনো পক্ষের অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ