বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রার্থীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এদের মধ্যে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাথরঘাটা হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এরা প্রত্যেকেই রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত আছে বলে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির (কাপ-পিরিচ) ও এনামুল হোসাইনের (দোয়াত-কলম) মার্কার সমর্থকদের মধ্যে কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ও পাথরঘাটা হাসপাতালে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আহতরা হলেন, দেয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী এনামুল হোসাইন, যুবলীগ নেতা ফয়সাল আহম্মেদ, মো. সোলাইমান, শাহ আলী, সবুজ গাজী, তানভীর আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা মো. আহাদ, মো. রাকিব ও রুবেল মিয়া, হাসান রাব্বি।
এনামুল হোসাইন অভিযোগ করেন, নির্বাচন শুরু থেকেই কাকচিড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে রাজন আহম্মেদ কাপ-পিরিচ মার্কার পক্ষ নিয়ে আমার (এনামুলের) লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে এবং দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রচার অফিস ভাঙচুর করে। গত বৃহস্পতিবার একই স্টাইলে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে রাজন তার লোকজন নিয়ে আমার কাকচিড়া ইউনিয়নের নির্বাচনি প্রচার অফিস ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে আমি (এনামুল হোসাইন) কিছু কর্মী নিয়ে সেখানে গেলে আমার ওপরে হামলা করে রাজন এবং আমাকে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে আমাকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মোস্তফা গোলাম কবির জানান, কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে তার এবং এনামুলের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির সময় একটু হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিট করে দেয়। তারপরেও এনামুল সন্ধ্যার পরে তার লোকজন নিয়ে ওই এলাকায় আমার লোকজনকে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে শহআলী ও রাকিবকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে আমার লোকজন দেখতে যায়। এসময় এনামুলের সমর্থকরা আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
পাথরঘাটা হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, প্রার্থী এনামুল ভর্তি হওয়ার পর মোস্তফা গোলাম কবিরের সমর্থক দুজনকে ভর্তি করালে আহতদের দেখতে উভয় পক্ষের লোক পাথরঘাটা হাসপাতালে জড়ো হয়। এবং হাসপাতালের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। এতে অনেকেই রক্তাক্ত আহত হয়েছে। ৩০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ এসে উভয় পক্ষের ওপর লাঠিচার্জ করে সভাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন জানান, এ ঘটনা যাতে নির্বাচনের উপর প্রভাব না পরে সে কারণে এই মারামারির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটকের ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। প্রার্থীরা অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ