রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টি এবং পলি মাটি ভরাট হওয়ায় কমেছে পানির পরিমাণ। এতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কমে গেছে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে মাত্র ১টি ইউনিট দিয়ে দৈনিক ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। পানির অভাবে বাকি ৪টি ইউনিট চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অথচ ৫টি ইউনিট একযোগে সচল থাকলে মোট ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব ওই কেন্দ্রে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ রুলকার্ভ অনুযায়ী ৯০ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল) থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে পানি রয়েছে ৮০ ফুট মিন সি লেভেল। অর্থাৎ রুলকার্ভের পরিমাপ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে প্রায় ১০ ফুট পানি কম রয়েছে।
আর কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সক্ষম হলেও পানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। এদিকে কাপ্তাই হ্রদে সমপ্রতি ভারী বৃষ্টিপাত না হলে পানি বাড়ারও সম্ভাবনা নেই। এতে পানি স্বল্পতায় দিন দিন কমে আসবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ।
এবিষয়ে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর কমেছে। এতে বর্তমানে ১টি ইউনিট দিয়ে দৈনিক ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। তবে সামনে বৃষ্টিপাত হলে এবং কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ষাটের দশকে কাপ্তাইয়ে স্থাপন করা হয় কাপ্তাই বাঁধ। যার উদ্দেশ্য ছিল পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। শুরুতেই দুটি ইউনিট নিয়ে শুরু হওয়া এই কেন্দ্রে বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে প্রতিদিন ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। জ্বালানি ছাড়াই শুধুমাত্র কাপ্তাই হ্রদের পানি ব্যবহার করে দেশের সবচেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কেন্দ্রটি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে মাত্র ৩৫ পয়সা।
টিএইচ