বিধিবহির্ভূতভাবে পাবনা সদর উপজেলায় বহিরাগত শিক্ষক বদলির আদেশ বাতিল ও ১০% কোটা সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। রোববার (২২ ডিসেম্বর) পাবনা সদর ইউএনও কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন পালন এবং জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কুলুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলাউদ্দিন পরাগ, শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাঈদ-উল-ইসলাম, বালিয়া হালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নার্গিস খন্দকার, সহকারী শিক্ষক কে এম মুক্তাদিরসহ অনেকে।
বক্তারা মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের মোট পদের ৬৫% পদ পদোন্নতির মাধ্যমে ও ৩৫% পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণের বিধান রয়েছে।
কিন্তু পাবনা সদর উপজেলায় প্রতি বছর ধরে এই নীতিমালার তোয়াক্কা না করে তথ্য গোপন করে, মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে কখনো কখনো স্বামী বা স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে, কখনো বা কর্মস্থল বা অন্য কারণ দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শিক্ষক বদলি হয়ে পাবনা সদরে আসছেন।
দীর্ঘকাল প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি না হওয়া এবং নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো বহিরাগত শিক্ষক এসে দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে পাবনা সদরে মোট ১৮৫ টি প্রধান শিক্ষক পদের ৬৫% হিসাবে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণযোগ্য পদ ১২০টি।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ১১৫ জনের মধ্যে কেউই পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হয়নি। কর্মরত ১১৫ জনের মধ্যে ৪৪ জন বহিরাগত ও ৭১ জন সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত। বহিরাগত শিক্ষক ১০% আসার বিধান থাকলেও নীতিমালা বহির্ভূতভাবে এসেছে ৩৯.৬৩%। অর্থাৎ কর্মরত পদ হিসাবে ১১ জন বহিরাগত শিক্ষক আসার কথা থাকলেও সে স্থলে সদরে এসেছে ৪৪ জন প্রধান শিক্ষক, যেটি খুবই উদ্বেগের।
মানববন্ধন শেষে সদর ইউএনও, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, পাবনার সচেতন মহল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ