ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লুট হওয়া একটি সেমি অটোমেটিক পিস্তলসহ নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালেতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের মতি মিয়ার হাটের পূর্ব পাশে হানিফ বাবুর্চির নতুন বাড়ি থেকে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মনির আহাম্মদ উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগসহ সরকারি অস্ত্র-গুলি লুটপাট করে। এই লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি যাতে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহূত হতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সেনবাগ থানা পুলিশ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের মতি মিয়ার হাট এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে মনির আহাম্মদের কাছে একটি অত্যাধুনিক পিস্তল রয়েছে জানতে পারে সে অস্ত্রটি সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছে।
পুলিশ আরও জানায়, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনবাগ থানা এলাকায় দায়িত্বশীল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সেনবাগ থানা পুলিশের একটি দল রাতে হানিফ বাবুর্চির নতুন বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই সময় স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আসামি মনির আহাম্মদকে আটক করা হয় এবং তার হেফাজত থেকে একটি সেমি অটোমেটিক ৭.৬২ এম.এম পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায় তার প্রতিবেশী ও আত্মীয় মো. কাইয়ুম অস্ত্রটি বিক্রি করার জন্য তার কাছে রাখে। অস্ত্রটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাধীন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র। যে লুটের ঘটনায় কাইয়ুম সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল। এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাতক আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টিএইচ