নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য নৌকা, যা নৌ পথে একমাত্র বাহন হিসাবে ব্যবহৃত হত। সেই ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মেও কাছে তুলে ধরতে ২০২০ সালে বরগুনায় নির্মিত হয়েছে এশিয়ার সর্ব প্রথম বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর।
নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের পুরোনো যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম নৌকা তুলে ধরতে গত ২০২০ সালে বরগুনা জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর নমে ভিন্নধর্মী এক জাদুঘর নির্মাণ করেন। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০০টি নৌকা স্থান পাবার কথা থাকলেও পেয়েছে ৭৭টি নৌকা।
জাদুঘরে জন্য সাধারণের প্রবেশের জন্য ২০টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ফ্রি করা হয়। দর্শনার্থীরা বলছে প্রচার প্রচারণার অভাবে দিন দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। উদ্ভোধনের পর শুরুর দিকে কিছু দর্শনার্থীরা আসলেও এখন আর তেমন কোন দর্শনার্থী দেখতে পাওয়া যায় না।
দর্শনার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর একটি দেশের অন্যতম আকর্ষনীয় জাদুঘর। এখানে নানান ধরণের পুরোনো নৌকা দেখতে পাওয়া যায়। অনেক নৌকার নাম শুনেছি কিন্তু দেখিনি। এই নৌকা জাদুঘর ঘুরে অনেক নৌকার দেখলাম ও নাম জানলাম।
তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর পরিকল্পনায় জেলা প্রশাসন ভবন সংলগ্ন পুরাতন পাবলিক লাইব্রেরি চত্ত্বরে ৭৮ শতক জমির উপর মাত্র ৮১ দিনে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। জাদুঘরটি নির্মিত হয়েছে ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের নৌকার আদলে। মূল ভবনটি ৭৫ ফুট। জাদুঘরটি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর উদ্ভোধন করে ১০ জানুয়ারী সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।
প্রতিদিন বিকাল ২টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে, তবে সারাদিন খোলা থাকে শুক্র ও শনিবার, মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ। দর্শনার্থী না থাকায় এখন খোলা হচ্ছে বিকাল ৩টায়।
বরগুনার সুশীল সমাজ বলছেন, জেলায় অবস্থিত ইকো-ট্যুরিজমকে আরও প্রসার ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে অক্ষুন্ন রাখতে এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগে খুশি তারা। তবে প্রচার প্রচারণার অভাব রয়েছে বলে দাবী তাদের।
প্রচার প্রচারণা বাড়ানোর বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফয়সাল আহমেদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের আকর্ষনের জন্য নৌকা জাদুঘরের প্রচার প্রচারনা নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নৌকা জাদুঘরটি আরও দৃষ্টিনন্দন করতে কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
টিএইচ