রামপালে ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর (১৭) পিতা বাগেরহাটের আদালতে মামলা করেছেন। আসামির প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রামপাল উপজেলার বর্ণি ছায়রাবাদ গ্রামের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে (১৭) ধর্ষণ করে তারেক হাসান বাপ্পি এক যুবক। এ ঘটনায় বাদী হয়ে বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন ভিকটিমের পিতা।
আদালতের বিচারক গত ১২ অক্টোবর শুনানি শেষে রামপাল থানা পুলিশের ওসিকে এজাহার করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। রামপাল থানার ওসি আদেশের কপি পেয়ে গত ১ নভেম্বর মামলাটি রুজু করে গৌরম্ভা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দীনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫ নভেম্বর বাগেরহাটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে হাজির করে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করিছেন।
বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১০ এপ্রিল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের ইকবাল গাজীর ছেলে তারেক হাসান বাপ্পি ভিকটিমের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা ধার নেয়। আসামি বাপ্পী টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে তাদের বাড়ির পাশে গ্রামীণ ফোনের টাওয়ারের ফাঁকা পাহারাদারের রুমে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে তাকে ধর্ষণ করে। এরপরে একথা কাউকে না বলতে হুমকি দেয়।
ওইদিন রাতে বাড়িতে গিয়ে ভিকটিম তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।
গত ২৮ আগস্ট খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভিকটিমকে পরীক্ষা করালে ২১+ সপ্তাহের গর্ভবতী বলে ডাক্তার রিপোর্ট দেন। বর্তমানে ভিকটিম ২৯ সপ্তাহের গর্ভবতী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তারেক হাসান বাপ্পীর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পিতা ইকবাল গাজীকে পাওয়া গেলেও তিনি সাংবাদিকদের বসতে বলে গা ঢাকা দেন।
রামপাল থানার ওসি এস,এম আশরাফুল আলম জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক গত ২৬ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর পাঠানো কপি হাতে পেয়েই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আসামি আটকের চেষ্টা করছি।
টিএইচ
