শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ফরিদগঞ্জে টনসিল অপারেশন করতে গিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি  

ফরিদগঞ্জে টনসিল অপারেশন করতে গিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

গলা ব্যথা নিয়ে দেড় বছরের শিশু সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী কুলসুমা আক্তার মুক্তা (২২) ফরিদগঞ্জ লাইফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে তার অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারেও নিয়ে যায়, সেখানে এনেস্থিসিয়া দেয়ার পর কুলসুমা আক্তারের আর জ্ঞান ফিরেনি। তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলেও সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 

জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। ১ঘণ্টা পর মুক্তার শ্বাশুড়ি আলেয়া বেগমকে জানানো হয়, তার পুত্রবুধূ অসুস্থ তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিকিৎসক রেফার করেছেন। তিনি উপায়ান্ত না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেয়া অ্যাম্বুলেন্সে করেই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সদর হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতের শ্বাশুড়ি আলেয়া বেগম জানান, আমার ছেলের স্ত্রীর গলায় টনসিল ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি ওই এলাকার দালাল কামালের মাধ্যমে। তারা রাতে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার পর ডাক্তার বলেছেন ১৫-২০ মিনিট সময় লাগবে ১ঘণ্টা পর আমাকে ডেকে বলেছেন আপনার ছেলের স্ত্রীর জ্ঞান ফিরছে না। 

তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরে তড়িঘড়ি করে আমার নাতিকে দিয়েই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সদর হাসপাতালে চিকিৎসারা ইসিজি করার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে এনেস্থিসিয়া দেয়া ডা. শাহ আলম রিপনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
লাইফ জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. পরেশ চন্দ্র পাল বলেন, হাসপাতালে রোগীর অজ্ঞান করার জন্য ডা. শাহ আলম রিপনকে নিয়ে আসা হয়। 

অজ্ঞান করার তিনটি ইনজেকশনের মধ্যে দুটি করা হয়েছে। এই ইনজেকশন তার শরীরে সাপোর্ট করে নাই, তাই তার হার্ট ব্লক হয়ে গেছে। পরে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালের এমডি ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। কুলসুমা রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামের মেম্বার বাড়ির প্রবাসী আল-আমিনের স্ত্রী।

টিএইচ