ফরিদপুরের চরভদ্রাসন পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের ৩০ মিটার এলাকাজুড়ে ধস দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ফরিদপুর পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বাঁধের ধসে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
গত রোববার ফরিদপুর পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন, চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী মোর্শেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাউছার, ভাইস চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্যা, ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রাম এলাকায় পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের ৩০ মিটারের মতো এলাকাজুড়ে ধস দেখা দিয়েছে। তবে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি তীর সংরক্ষণ বাঁধের ওপর দিয়ে ভারি পাইপ লাইনের মাধ্যমে বলগেটের বালু লোড-আনলোডের কারণেই এই ধসের কারন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে ভারি পাইপ লাইনের মাধ্যমে বলগেইটের বালু লোড-আনলোড করার কারনে এ ধস দেখা দিয়েছে।
শাহীনুজ্জামান নামক এক বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে এ কাজটি করছেন বলে জানাগেছে। এর কারণে পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধের তলদেশের মাটি সরে গিয়ে প্রায় ৩০ মিটার এলাকা ধসে গেছে।
তিনি আরও জানান, এছাড়াও বাঁধ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ধস দেখা দিয়েছে। পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে ওই বালু ব্যবসায়ীর ধংসাত্মক কার্যকলাপের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। আর পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ার পর ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে বালু ব্যবসায়ী শাহীনুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মেবাইল নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন ইউএনও মো. মেহেদী মোর্শেদ বলেন, পদ্মা রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে বলগেটে বালু আনলোড দ্রুত বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ