শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ফরিদপুরে বকেয়া বেতনের জন্য শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

ফরিদপুরে বকেয়া বেতনের জন্য শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা সদরের এম এম ওসমান মডেল স্কুলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের বেতন বকেয়া থাকায় এবং তা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার অপরাধে শিক্ষার্থীদের বাঁশের লাঠি ও বেত মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। 

এ সময় শিক্ষার্থীদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে স্কুল থেকে পালিয়ে যায় শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিনসহ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের কাছে মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

এ সময় আহত শিক্ষার্থীরা তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন প্রশাসনকে দেখায় এবং অনতিবিলম্বে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি তোলেন। 

স্থানীয় ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানাগেছে, এম এম ওসমান মডেল স্কুলটি দীর্ঘদিন যাবত পাঠদানের অন্তরালে কোচিং বাণিজ্য করে আসছে। অথচ সরকারিভাবে পাঠদানের কোন অনুমতি নেই প্রতিষ্ঠানটির। ভাঙ্গায় অবস্থিত বিভিন্ন স্কুলে সাথে আঁতাত করে ওইসব স্কুলের নামে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে চার পাঁচশ শিক্ষার্থীকে নিয়মিত কোচিংয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পাঠদান করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে সরকারি বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছালে প্রশাসনের ভেতরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। 

এ ব্যাপারে স্কুলের কর্নধার এম এম ওসমান বলেন, আমার স্কুল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রের মধ্যে আমার স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকও জড়িত। তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়। ঘটনা সত্যতা পেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। একই সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। 

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দীন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ। সরকারি কোন অনুমোদনও নেই। তারা ব্যক্তিমালিকানাভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালাত। এ ঘটনায় কোন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। মৌখিকভাবে বিষয়টি জানতে পেরেছি। সরেজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ বিষয়ে ভাঙ্গা ইউএনও আজিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। ফরিদপুর জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছি।

টিএইচ