সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ফেনীতে চায়ের গ্রামে মিলছে ৫৩ রকমের চা

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে চায়ের গ্রামে মিলছে ৫৩ রকমের চা

চা-কে অনন্য এক শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ফেনীর তরুণ উদ্যোগতা মো. রুবেল তারেক। শহরে মিজান রোডের আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেটের তৃতীয় তলায় তার এই দোকানেই মিলছে ৫৩ রকমের চা। নানা স্বাদের বাহারি আয়োজনের চায়ের সঙ্গে মিল রেখে দোকানের নাম দেয়া হয়েছে ‘চায়ের গ্রাম’। সেখানে সারাদিনই ভিড় দেখা যায় চা-প্রেমীদের।

উদ্যোক্তা মো. রুবেল তারেক বলেন, ২০০৩ সালে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০০৭ সালে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে পরে ঢাকার একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সে। 

ওই চাকরি করে সেখান থেকে অল্পকিছু মূলধন আর বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে ২০২০ সালের আগস্টে ছোট পরিসরে ২০০ স্কয়ার ফিটের একটি জায়গায় এই দোকানের যাত্রা শুরু করেন তিনি। প্রায় এক বছর অতিক্রম করার পর আমাদের প্রতি ফেনীর মানুষের আগ্রহ দেখে সামনে অগ্রসর হই।

পরবর্তীতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১১০০ স্কয়ার ফিট জায়গা নিয়ে নতুন পরিসরে আবার চায়ের গ্রামের কার্যক্রম শুরু করি। ঢাকা-চট্টগ্রামে হরেক রকম চায়ের দেখা মিললেও ফেনীতে আগে তেমন কিছুই ছিল না। যা সর্বপ্রথম আমরাই শুরু করি। এই যাত্রায় ফেনীর চাপ্রেমীদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি।

শুরুর পথ মসৃণ ছিল না উল্লেখ করে রুবেল বলেন, শুরুর সময় নানা ধরনের চা নিয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ ছিল না। তবে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়েছে।

বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ছয়জন তরুণ কাজ করছেন। নিজ এলাকায় এ তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরে নিজেকেও গর্বিত মনে করছি।

নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে রুবেল বলেন, আগামীতে উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা শহরে চায়ের গ্রামের শাখা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তার দাবি এখানে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী, মধ্যবয়সি এবং বিভিন্ন কাজে আলোচনা করতে বসার সুবিধার্থে লোকজন আসেন। তবে স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীদের বসার অনুমতি দিই না। 

স্থানীয় চাপ্রেমী আবদুল মান্নান সুমন বলেন, বিভিন্ন ফ্লেভারের এই চা ফেনীর  মানুষকে আকৃষ্ট করছে। আমরা নিয়মিত এখানে চা পান করতে আসি। তার দাবি ভিন্ন স্বাদের চা পানে আশপাশের জেলা ও উপজেলা থেকেও অনেকে এখানে  আসছেন।

ফেনী শহরের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী বলেন, ফেনীর এক দোকানে ৫৩ রকমের চা তৈরির বিষয়টি সত্যিই ব্যতিক্রমী।

 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেনীর এ চায়ের গ্রামের কথা ছড়িয়ে পড়লে ধীরে ধীরে এখানে চাপ্রেমীদের ভিড় বাড়তে থাকে উল্লেখ করে তিনি তরুণ উদ্যোক্তা হাসান তারেকের সফলতা কামনা করেন।

টিএইচ