ফেনীতে একই পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে। এ ঘটনায় আহত নারী-শিশুসহ ৭ জনকে গত শনিবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলার দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের মধ্যম কৌশল্যা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সূত্র জানায়, ওই এলাকার দারেগ আলী বাড়ির আবদুল মালেকের পরিবারের সদস্যদের অগোচরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। গত শুক্রবার রাতে সবাই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। গত শনিবার সকালে ওই পরিবারের সদস্যরা কেউ বের না হওয়ায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে দরজা খোলা দেখে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়।
খবর পেয়ে কোরাইশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নেছার আহমেদ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এসময় অজ্ঞান অবস্থায় গৃহকর্তা আবদুল মালেক, তার স্ত্রী রুজিনা বেগম, ছেলে মাহিন, তার আত্মীয় রাহেনা বেগম আমেনা, নাতনি ইকরা আক্তার, এলিন, নাতি আরিয়ানকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
গৃহকর্তার জামাতা খুরশিদ আলম জানান, রাতে তার শশুর আবদুল মালেক, শাশুড়ী রুজিনা বেগম ও নাতনি এলিনের জ্ঞান ফিরেছে। অন্যদের দুপুরে জ্ঞান ফেরায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কোরাইশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নেছার আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ঘর থেকে দুস্কৃতিকারীরা নগদ ২ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে বলে জেনেছি। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টিএইচ