ফেনীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিন ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলার সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার রাতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের একটি রেস্তোরার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রবিউল সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের বগাদানা গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে ও একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক।
পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা শেষ করে বের হয় তিন ছাত্রী। এ সময় তাদের পিছু নেন ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে তারা নানাভাবে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদ করলে ওই ছাত্রীদের চর থাপ্পড় ও লাথি মারেন তারা।
পরে ওই ছাত্রীরা দ্রুত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রবিউল ও তার সহযোগীরা অটোরিকশার পিছু নেন। অটোরিকশার গতিরোধ করে ছাত্রীদের নামিয়ে আবারও মারধর করেন তারা। ওই ছাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় রবিউল হাসানসহ চারজনের নামে মামলা করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন রবিউলের সহযোগী মো. তুষার, মো. মুরাদ ও মো. ফারুক। অপরদিকে এ ঘটনায় সংবাদ প্রচারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকিও দেয়া হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হাসান ইমাম বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিলেন। রোববার রাতে রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল পুলিশের নিকট ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
টিএইচ