শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ফেনীতে দ্রুত এগিয়ে চলেছে পৌর এলাকার ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ কাজ

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে দ্রুত এগিয়ে চলেছে পৌর এলাকার ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ কাজ

ফেনী পৌর এলাকার আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা ও শান্তি কোম্পানি বাই লেনে ড্রেনেজ-সড়ক নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি রয়েছে।

 পৌরসভা সূত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ট্রাংক রোড থেকে ফালাহিয়া মাদরাসা পর্যন্ত এবং শান্তি কোম্পানি মসজিদ থেকে ফালাহিয়া মাদরাসা পর্যন্ত এ দুটি সড়ক তুলনামূলক কম প্রশস্ত। এর ফলে ফালাহিয়া মাদরাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের বাসিন্দারা চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যেতো। দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী এ দুটি সড়ক ও ড্রেন নির্মাণসহ আশপাশের এলাকার বেশ কিছু সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। 

এ দুটি সড়কের কাজ শেষ হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হবে এ অঞ্চলের মানুষের। শান্তি কোম্পানি বাই লেন থেকে মনির উদ্দিন দারোগা বাড়ি সম্মুখস্ত স্থান পর্যন্ত ডা. গোলাম কিবরিয়া সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কটি উদ্বোধনও করা হয়েছে। এছাড়া মনির উদ্দিন দারোগা বাড়ি সড়কটি উঁচু করে পাকাকরণ করা হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ফালাহিয়া মাদরাসার সামনের সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের জন্য ৩৬ লাখ টাকা এবং শান্তি কোম্পানি বাইলেনে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে ২০ লাখ টাকা পৌরসভা থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়।

স্থানীয় সামাজিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কেবিএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয়দের বহু প্রত্যাশিত দুটি সড়কের কাজ শুরু করায় পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি ইতোমধ্যে এলাকা ঘুরে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। শহরের নান্দনিকতার ছোঁয়া মেয়র স্বপন মিয়াজীর উদ্যোগে পাড়া-মহল্লায়ও ছড়িয়ে পড়ছে।

ফালাহিয়া মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হারুন অর রশিদ মজুমদার জানান, দুটি সড়ক দিয়ে মাদরাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। উভয় সড়কটিই একদিকে সরু অন্যদিকে ড্রেন না থাকায় দুর্ভোগ হতো। মেয়র স্বপন মিয়াজীর উদ্যোগে দীর্ঘদিনের এ ভোগান্তির অবসান হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।

টিএইচ