শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

ফেনীতে বন্যায় ভাসল ৩২৫টি পুকুর মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষতি

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে বন্যায় ভাসল ৩২৫টি পুকুর মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষতি

এবার ফেনীর মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জেলার উত্তরাঞ্চলের দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে  মৎস্যখাতে রেণু, বড় মাছ ও পুকুরের অবকাঠামো মিলে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

রোববার (৭ জুলাই) জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে সূত্রে এতথ্য জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার সকাল থেকে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে আসে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যার কারণে মৎসচাষীদের অন্তত ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি খামারি। 

বন্যার পানিতে ভেসে গেছে দুই উপজেলার একক ও যৌথ মালিকানাধীন প্রায় ৩২৫টি পুকুর। এসব পুকুর থেকে ৫৭ লাখ টাকার বড় মাছ এবং ৩৭ লাখ টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। এছাড়া দুই উপজেলায় খামারিদের প্রায় ২২ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জেলা মৎস বিভাগ সূত্র আরও জানায়, ফুলগাজী উপজেলায় ২৪৫টি পুকুর ভেসে সাড়ে ৪০ লাখ টাকার মাছ ও সাড়ে ৭ লাখ টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। উপজেলায় মাছ চাষীদের ২০ লাখ টাকার আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ফুলগাজীতে ৬৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।

একইভাবে পরশুরাম উপজেলায় ৮০টি পুকুর ভেসে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার মাছ ও ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। উপজেলায় মাছ চাষিদের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। সব মিলিয়ে পরশুরামের মৎস্যখাতে প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার মৎস্য খামারি আলমগীর হোসেন বলেন, নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরের চারপাশে নেট জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছিলাম। কিন্তু বাঁধ ভেঙে পানির তীব্র স্রোতে কিছুই কাজে আসেনি। সবকিছু পানিতে ভেসে গেছে।

ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর এলাকার মাছ চাষী মো. রাজু বলেন, আকস্মিক বন্যায় সবকিছু ভেসে গেছে। ক্ষতি কাটিয়ে বছর ঘুরে আসার আগেই আবার একই দশা হয়। এভাবে লোকসান গুণতে গুণতে অনেকেই ব্যবসায় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতিবছরই আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানিতে দুই উপজেলার অন্তত ৩২৫টি পুকুর ভেসে গেছে। এতে অনেক খামারি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তথ্য পাঠানো হয়েছে। কোনো ধরনের সহযোগিতা আসলে তা খামারিদের প্রদান করা হবে।

টিএইচ