শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশই প্রবাসী

ফেনীতে রেমিটেন্স পান ৩৩.৮৫ শতাংশ পরিবার

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে রেমিটেন্স পান ৩৩.৮৫ শতাংশ পরিবার

ফেনীর মোট প্রবাসীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জন। এই সংখ্যা জেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ (প্রায় ১১ শতাংশ)। গত বৃহস্পতিবার জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর জেলা প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ফেনীর মোট জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ পরিবার রেমিটেন্স পেয়ে থাকেন। জেলায় মোট জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৬ জন। মোট পরিবারের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৪।

সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী ফেনীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, যা ২০১১ সালের শুমারিতে ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ৬৬৫, জেলায় নির্ভরশীল জনসংখ্যার হার ৫৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, যা জাতীয়ভাবে নির্ভরশীলতার হার ৫৩ শতাংশ। জেলায় ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৮০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক প্রধান অতিথ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক তথ্য নিশ্চিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক দূর এগিয়েছে। অর্থনৈতিক শুমারির কার্যক্রম চলমান। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আমাদের উন্নয়নের চিত্র সবার সামনে তুলে ধরা হবে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে ফেনী জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রচেষ্টার উদাহরণ প্রযুক্তিনির্ভর জনশুমারি এবং গৃহগণনা। যে কারণে অন্যবারের তুলনায় তথ্য এ শুমারিতে অনেক কম এসেছে। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ফেনীর উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপসচিব মুনিরা ইসলাম, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংপ্রু মারমা প্রমুখ।

ফেনী জেলা কালচারাল কর্মকর্তা এসএমটি কামরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. তানজীব হাসান ভূঁইয়া। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

টিএইচ