ছোট ফেনী নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নদীর একাংশে বাঁশ ও বেড়া দিয়ে ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে স্বেচ্ছাশ্রমে। এর নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) জেলার সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের ইতালি মার্কেট সংলগ্ন তালতলি এলাকায় গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত শনিবার বাঁধটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় সমপ্রতি এ এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে গ্রামের সহস্রাধিক লোক নিজেদের পরিবার রক্ষার তাগিদে দ্রুত এ স্থানটিতে একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীতা অনুভব করেন।
অন্যথায় এসব পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি অচিরেই নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এছাড়া অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে এ জনপদের মানুষদের মধ্যে চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এজন্য সরকারের দিকে না তাকিয়ে নিজেরাই চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে এ বাঁধটি নির্মাণ কাজে নেমে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় আজিজ উল্লাহ বলেন, এ স্থানে একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এলাকাটা ভাঙন থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। দ্রুত রাষ্ট্রীয়ভাবে এখানে টেকসই বাঁধ নির্মাণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
মো. সবুজ নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, হাজার হাজার পরিবার ও জমি রক্ষায় আমরা সোনাগাজী এবং কোম্পানীগঞ্জবাসী অতিদ্রুত মুছাপুর রেগুলেটরটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ভাঙনরোধে রেগুলার নির্মাণের বিকল্প নেই। সে সঙ্গে ছোট ফেনী নদীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ডাকাতিয়া খালের মুখে বালি এসে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি অপসারণে বিঘ্ন হচ্ছে। খালটি পরিকল্পিতভাবে খনন করা হলে ভাঙনরোধে সহায়ক হবে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ নদীটি আরও ১ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল। ভাঙতে ভাঙতে এখানে এসে পৌঁছেছে। তাই এ অঞ্চলের মানুষ রাত হলে ভয়ে কেউ নিজেদের বাড়ি ঘরে থাকে না।
তিনি আরও বলেন, ভাঙনরোধে একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণই পারে নদীটার মোড় অন্যদিকে ফেরাতে। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেবেন এমনটি প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
টিএইচ