ফেনীতে দাগনভূঞা উপজেলার ১২ শিক্ষকের সিন্দুরপুর ইউনিয়নের অলাতলী জিন্নুরাইন বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় এবারের দাখিল পরীক্ষায় ১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে মাত্র একজন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) এতথ্য জানিয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে ওই শিক্ষার্থী জিপিএ-২.৫৬ পেয়ে পাস করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবছর ১০ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত রোববার প্রকাশিত ফলাফলে তাদের মধ্যে মাত্র ওই একজন ছাত্রী জিপিএ-২.৫৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদ্রাসাটি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয়। এরপর ২০০২ সালে পাঠদানে অনুমতি এবং ২০০৫ সালে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। তার পরবর্তী প্রত্যেক বছরই দাখিলে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করে আসছিলেন মাদ্রাসাটির ছাত্রীরা। এবার দাখিল পরীক্ষার এমন ফলাফলে মাদ্রাসাটির শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষর্থীর মধ্যে হতাশা নেমে আসে। বিষয়টি নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে স্থানীয়দের মধ্যেও।
এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসাটি সাবেক শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া (বর্তমানে ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলের কর্মরত) জানান, মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা নুরুল ইসলামের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অনেক ভালো শিক্ষক বিনা বেতনে বছরের পর বছর এখানে শ্রম বিনিয়োগ করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এখানে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আদর্শবান শিক্ষকের শূন্যতার কারণে চলতিবছর মাদ্রাসাটির ফলাফলে এমন বিরুপ প্রভাব পড়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে দাগনভূঞা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটি পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি ফলাফল কেন এত খারাপ হলো, তা যাচাই-বাছাই করব।
টিএইচ