সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

ফেনীর মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধের ১০ স্থানে ভাঙন

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধের ১০ স্থানে ভাঙন

ফেনীর মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধের অন্তত ১৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অতিবৃষ্টি ও ভারতীয় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাঙনগুলোর সৃষ্টি হয়। শনিবার (৩ আগস্ট) পানিবন্দী হয়ে পড়ছে জেলার দুই উপজেলার অন্তত ৮ হাজার ৬০০ টি পরিবার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে গত শুক্রবার তাৎক্ষণিক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় ছুটে আসেন স্থানীয় এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। 

শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পরশুরাম ইউএনও আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, উপজেলার বক্স মাহমুদ ইউনিয়নের টেটেশ্বর নামক স্থানে দুটি জায়গায়, সাতকুচিয়ায় দুটি জায়গায়, পশুরাম পৌরসভার দুবলা চাঁদ, চিথলিয়া ইউনিয়নে নোয়াপুর, দক্ষিণ শালধর, জঙ্গলঘোনা, মির্জানগর ইউনিয়নর পূর্ব সাহেব নগর, পশ্চিম মির্জা নগরসহ শনিবার (৩ আগস্ট) রাত পর্যন্ত ১০টি স্থানে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। ফলে স্থানীয় পৌরসভার বাউরপাথর, বাউরখুমা, দুবলাচাদ, কোলাপাড়া, অনন্তপুর, উত্তর গুথুমা, বেড়াবারিয়া, গ্রামে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তর মনিপুর, দক্ষিণ মণিপুর, কালী কৃষ্ণনগর, গদানগর, কাউতলী ও দাসপাড়া গ্রামের প্রায় ৩শ পরিবার ও চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর, মালীপাথর, পাগলীরকুল গ্রামে প্রায় ২হাজার পরিবার এবং বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ টেটেশ্বর, সাতকুচিয়া, কহুয়া, চারিগ্রাম, বাঘমারা, জমিয়ারগাও, গ্রামে প্রায় ৮শ পরিবার  পানিবন্দী অবস্থায়  রয়েছে।

তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া পরশুরাম পৌরসভার উত্তর বাজার এলাকায় বন্যার কারণে আটকে যাওয়া প্রায় ১০টি পরিবারকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হোসেন জানান, নদীতে পানির চাপে বেড়িবাঁধের পরশুরাম অংশের ১০টি স্থান ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী অংশে এখনও ভাঙনের খবর পাওয়া যায়নি। তবুও বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সংকট সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

টিএইচ