বগুড়া শহরে ফলবাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। মৌসুমের শুরুতে এ ফল ক্রেতাদের আকর্ষণ করলেও দামের কারণে কিনতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে অনেকে। দাম সাধ্যের মধ্যে না থাকায় কেউ কেউ তরমুজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।
তরমুজ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বগুড়ার বাজারে যেসব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো বরিশাল ও ভোলা থেকে আনা হয়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। এখন বাজারে সবুজ রঙের তরমুজের তুলনায় কালো রঙের তরমুজ বেশি রয়েছে।
বিক্রেতারা বলছে কালো এ তরমুজের ভেতরটা টকটকে লাল এবং খেতে দারুণ মিষ্টি। বগুড়া চেলোপড়া এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সুমন বলেন, সব জিনিসের দাম বেশি। তরমুজের দামও বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম কম।
এখন বাজারে তরমুজ নতুন আসছে। মাল আমদানি বেশি হলেই দাম কমে যাবে। আমরা যে তরমুজ বেচচ্ছি সেগুলো বরিশাল ও ভোলা থেকে আনা। তরমুজ ৫০ টেকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেনাবেচা কম।
তরমুজ কিনতে আসা মোসলেম বলেন, একটা বড় আকারের তরমুজ কিনতে গেলে ৪০০-৫০০ টাকা লাগবে। একজন নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে তরমুজ কেনা খুব কঠিন। তরমুজ ২০-২৫ টাকা কেজি হলে ভালো হতো।
তরমুজ কিনতে আসা অটোভ্যান চালক আরফান আলী বলেন, বাড়িতে ছয়জন মানুষ। একটা বড় তরমুজ কিনতে গেলে ৫০০ টাকা লাগে। একদিনের কামাই তরমুজ কিনতেই শেষ। এজন্য তরমুজ না কিনেই যাচ্ছি। দাম কমলে কিনমুনি।
টিএইচ