বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরকারি জায়গা দখল করে বিল্ডিং বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত মাছেম প্রামানিকের ছেলে তোজাম্মেল হোসেন প্রামানিকের বিরুদ্ধে। ওই স্থানে ২/৩ দিন ভূমি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অজানা কারণে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবানীপুর গ্রামে সরকারি রাস্তা সংলগ্ন ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত সরকারি আনুমানিক ৬ শতক জায়গার উপর বিল্ডিং বাড়ি নির্মাণ করছেন তিনি। যে জায়গাটির অনুমানিক মূল্য ৯ লাখ টাকা।
ভবানীপুর গ্রামবাসী জানান, সরকারি জায়গার উপর বিল্ডিং বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তারকে জানানো হয়েছিল। এরপর সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিল্ডিং নির্মাণে নিষেধ করে চলে যান। পরে ১ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর পুনরায় নির্মাণ কাজ চালু করেন তোজাম্মেল হোসেন।
পরবর্তীতে আবারো ভূমি অফিসকে বিষয়টি জানালে ২য় বারের মত সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে তোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে চলে যান। এরপর আবারো বিল্ডিং নির্মাণ কাজ চালু করেন তোজাম্মেল হোসেন। ৩য় বারের মত বিষয়টি ভূমি অফিসকে জানালে আবারো ঘটনাস্থলে আসেন ভূমি কর্মকর্তারা এবং তোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে চলে যান। বর্তমানেও বিল্ডিং নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এখন বিল্ডিং বাড়িটির ২য় তলার কাজ চলছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক তোজাম্মেল হোসেন জানান, ভূমি কর্মকর্তাসহ উপর মহল ম্যানেজ করেই বিল্ডিং বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এবিষয়ে সদর ইউনিয়ন ভূমি কমকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ২/৩ বার গিয়ে নিষেধ করে এসেছি।
বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যারকেও জানানো হয়েছে। স্যার বলেছেন বিল্ডিং উচ্ছেদ করা হবে। কবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা স্যার বলতে পারবেন। আপনি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।
এবিষয়ে ইউএনও হুমায়ন কবীর বলেন, শুরুতেই সহকারী কমিশনার ভূমিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বর্তমানেও যদি বিল্ডি নির্মাণ কাজ চলমান থাকে তাহলে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গাটি দখল মুক্ত করা হবে।
টিএইচ