ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত স্টেকহোল্ডার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল-আল-মামুন, বন্যপ্রাণি পরিদর্শক নিগার সুলতানা।
কর্মশালায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, গত অর্থবছরে উপকারভোগীদের ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়েছে। সমপ্রতি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে পলিথিনসহ প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান সংরক্ষণ এবং উদ্যানটি যাতে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয় সেটি নিয়ে কাজ করা। সঙ্গতকারণে, স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ভূমিসংক্রান্ত জটিলতাসহ বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার শিকার বন বিভাগ।
জাতীয় উদ্যানের ভেতর ব্যক্তিমালিকানা ভূমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চলছে। জাতীয় উদ্যান নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বন বিভাগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন বলেন, আমাদের দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমির কথা থাকলেও তা নেই। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ভেতরে থাকা ব্যক্তিমালিকানা জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ হলে উদ্যানের আয়তন বৃদ্ধি পাবে।
টিএইচ