শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বরগুনায় নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই সড়কে গর্ত

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনায় নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই সড়কে গর্ত

বরগুনায় সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচ, বিভিন্ন অংশে দেবে গিয়ে হচ্ছে কর্দমাক্ত, কোথাও কোথাও গর্তের সৃষ্টি হয়ে জমে যাচ্ছে বৃষ্টির পানি। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজে নির্মাণ করা হয়েছে সড়কটি। যে কারণে বৃষ্টির মৌসুম যেতে না যেতেই হয়ে পরবে চলাচল অনুপযোগী। প্রশাসন বলছেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আর এলজিইডি কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে নেয়া হবে ব্যবস্থা। 

বরগুনার তালতলী উপজেলার পচাঁকোড়ালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাট ভায়া পচাঁকোড়ালীয়া স্লুইচগেট বাজার জিপিএস ৫ কিলোমিটার সড়ক। ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে এক বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। 

কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মেসার্স দেলোয়ার হোসেন-মোমিনুল হক (জেভি) নির্মাণ কাজ পুরোপুরি (কার্পেটিং বাকী ছিল) না করেই ফেলে রেখে যান। এরপর বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষ পুনরায় দরপত্র আহ্বান করলে, কাজটি পান মেসার্স ইলমা এন্টারপ্রাইজ নামে বরগুনার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

কার্যাদেশ অনুযায়ী এ বছরের পহেলা মে থেকে ৩০ জুনের মধ্যে রাস্তার কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটি নির্মাণে দুই ধাপে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৯ হাজার ২৪ টাকা।

কিন্তু নির্মাণের এক মাস যেতে না যেতেই খানাখন্দে পরিণত হয়েছে সড়কটি। যে কারণে বৃষ্টির মৌসুম যেতে না যেতেই এ সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে যাবে।

স্থানীয় আনিসুজ্জামান নসা মাস্টার বলেন, ঠিকাদারের দুর্নীতি আর এলজিইডি কর্মকর্তাদের গাফেলতির কারণে এভাবে রাস্তা নির্মাণের সাহস পেয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। 

সংশ্লিষ্ট ১নং পচাঁকোড়ালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, সড়কটি নির্মাণকালে কাজের মান নিয়ে ঠিকাদার এবং এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার কথা বললেও তারা কোন গুরুত্ব দেয়নি। তাই এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মহিবুল ইসলাম তনু বলেন, সড়কটির কাজ আমি করিনি, আমার লাইসেন্সে মো. ফরহাদ জোমাদ্দার নামে অন্য এক ঠিকাদার কাজ করেছে। রাস্তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও তিনি অবগত নন বলে জানান। আর এ বিষয়ে কথা বলতে ফরহাদ জোমাদ্দারের মোবাইল ফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। 

এলজিইডির তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, আগামী সপ্তাহে নির্বাহী প্রকৌশলী ওই রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা এ বিষয়ে বলেন, ওই রাস্তার বিষয়ে আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। তাই এ বিষয়ে বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হবে। 

এ বিষয়ে কথা বলতে বরগুনার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

টিএইচ