বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কোয়ার্টার থেকে অন্তরা পানুয়া (২২) নামে আইএইচটির দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। তিনি আইএইচটির ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পানুয়ার সহপাঠী সুরাইয়া আক্তার বলেন, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দরজার ফাঁক দিয়ে অন্তরাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই। এরপর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে অন্তরার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
সুরাইয়া আরও বলেন, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আইএইচটির ইন্সট্রাকশন শিক্ষক তাহের সুমনের মাধ্যমে অন্তরা এই রুমে ওঠেন। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। মৃত্যুর ঘটনা অন্তরার স্বামী তাপসকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্তরা পটুয়াখালী জেলার খলিসাখালি উপজেলার অনুকূল চন্দ্র পানুয়ার মেয়ে।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এদিকে পরিবারের দাবি অন্তরাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে শেবাচিম হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়ার্টারে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তাহের সুমনের পরিবার কীভাবে থাকেন, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইএইচটির ইন্সট্রাকশন শিক্ষক তাহের সুমন কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তবে নিহত অন্তরার সঙ্গে শিক্ষক তাহের সুমনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল এমন গুঞ্জন উঠেছে আইএইচটি জুড়ে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক তাহের সুমন কোয়ার্টার ভাড়া নিয়ে সেখানে তার পরিচিত ও ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কিছু মেয়েদের রাখেন। এর আগেও শিক্ষক তাহের সুমনের বিরুদ্ধে নারীঘটিত কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে আইএইচটির অধ্যক্ষ মানষ কৃষ্ণ কুন্ড বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের কোয়ার্টারে আমাদের শিক্ষার্থী থাকার কথা নয়। কি কারণে ওখানে শিক্ষার্থী থাকেন এটি আমরা খতিয়ে দেখবো।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি আত্মহত্যা। আর শিক্ষক তাহের সুমনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলোও তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
টিএইচ