সরকারি বরিশাল কলেজের মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাকিবুল ইসলাম রিজনকে পরিকল্পিতভাবে উপর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করার প্রচেষ্ঠাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালের ১০ টি কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। রোববার (১৯ মার্চ) নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোডে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
শিক্ষার্থী এইচ.এম রাব্বির সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এলাকাবাসী সাংবাদিক মনিরুজ্জামান খান, শিক্ষার্থী মঈন, ঈমন, নোমান, নিলয়, তানভির, সোহান, রাইয়ান, আহত রাকিবুলের বোন সুমাইয়া আক্তার, টুম্পা আক্তার, ভগ্নিপতি সায়মন হোসেন ও আব্দুল জব্বার প্রমুখ। সরকারি বরিশাল কলেজের শিক্ষার্থী রিজনের বিচারের দাবিতে ১০টি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসীরা জানায় এলাকা বিভিন্ন কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার প্রতিবাদ করার জের ধরে গত ১৫ মার্চ বিকালে রাকিবুল ইসলাম রিজন বাসা থেকে বেড় হয়ে মোটরবাইক নিয়ে কাশিপুর বাজারের দিকে আসার পথে নগরীর ইছাকাঠি প্রধান সড়কের উপর পরিকল্পিতভাবে পূর্ব থেকেই অবস্থান নেয়া প্রধান হামলাকারী কিশোর গ্যাং লিডার মো. রিওয়ন সিকদারের নেতৃত্বে মো. সিহাব, মো. রাকিব, মো. লিখন সিকদার, রাব্বি কাজী, মো. সাদ ও ইজাজুল ইসলাম আবিরসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন রিজনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে চলে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন রিজনকে বাচাবার জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে এলাকবাসী রিজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করে দেয়। এঘটনায় রিজনের মাতা রুবিনা বেগম বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় নামধারী ৭ জনসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আকতার হোসেন বলেন, ওসি সাহেবকে কল করেন। পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলালের সরকারি মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার কোন উত্তর পাওয়া যায় নাই।
টিএইচ