দুই সন্তানের জননী আলো মজুমদার গত সোমবার রাতে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ওই নারীর লাশ কীর্তনখোলা নদী থেকে উদ্ধার করেছে। এতথ্য জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই আসাদুল আল গালিব।
নিহত মজুমদার বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার নরেরকাঠি গ্রামের কৃষ্ণকান্ত মজুমদারের মেয়ে। তার স্বামী অনুপ রায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পুলিশ জানায়, রাতে খবর পেয়েছেন লঞ্চ থেকে এক নারী নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে।
সকালে খবর পান কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরকাঠি এলাকায় একটি নারীর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। পরে নৌ পুলিশের একটি দল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। সেখানে এসে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
গৃহবধূর ভাই মঞ্জু মজুমদার জানান, আলো মজুমদার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। নগরীর কাশিপুর পাসপোর্ট অফিসের পাশে এক ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সোমবার মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার কথা বলে বের হন। তারপর তার কোন সন্ধান মেলেনি। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নদী থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
টিএইচ
