বাগেরহাটে ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুক্তিপন আদায়ের জন্য অপহরণ করা কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও ৬ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই অপহরণকারীদের উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে মামলাপূর্বক আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান।
আটকরা হলেন, সৈয়দ আল হারুণ, মো. তানিম হোসেন, সুজন শেখ, মো. ডালিম ফরাজী, মো. সুজন শেখ ও সেলিম মীর। এদের বাড়ি বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। অপহূত শিক্ষার্থী রবিউল শেখ স্বাধীন বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার ওমেদ আলী শেখের ছেলে। সে সরকারি পিসি কলেজের স্নাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার রবিউল শেখ স্বাধীনের সঙ্গে শারমিন আক্তার শিলা নামের একটি ফেসবুক আইডির পরিচয় হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে জন্মদিনের উপহার নিতে মাইক্রোবাস নিয়ে যাত্রাপুর এলাকায় রবিউলের বাড়ির সামনে আসে শিলা।
সেখানে রবিউলকে মাইক্রোবাসে উঠতে বলে শিলা। রবিউল গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে থাকা অপহরণকারীরা তার হাত-পা বেধে ফেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া নিয়ে যায়। পরে রবিউলের মুঠোফোন থেকে তার পরিবারকে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
রবিউলের বাবা অভিযোগ করলে, পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে অভিযান শুরু করে। অভিযান চালিয়ে গত শনিবার রাতে চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ গুচ্ছগ্রাম থেকে অপহূতকে উদ্ধার করা হয় এবং পরে একই রাতে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকা থেকে ৬ অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান বলেন, আমরা রবিউলকে উদ্ধার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছি। এই চক্রের সঙ্গে আরও কিছু লোক জড়িত রয়েছে।
যারা বিভিন্ন সহজ সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেন। এই চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রেমের সম্পর্ক করার ক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
টিএইচ