বাজারে দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন মন্ত্রই কাজে আসছে না। জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং থেকে ব্যবসায়ী সংগঠনের কঠোর হুশিয়ারির পরেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে উঠছেনা। রমজানে রোজাদারদের ইফতার সেহরি করতে হিমশিম খেতে হবে। জেলা প্রশাসক শুরু করেছেন বাজার মনিটরিং।
রিয়াজুদ্দিন বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জ ও ফলমন্ডিতে বাজার মনিটরিং করে বিভিন্ন অসংগতি পেয়ে সতর্ক করেছেন। তবে তারা সতর্ক মোটেই হচ্ছেন না। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি রয়েছে।
বৃহত্তম পাইকারি ও খুচরা বাজার রিয়াজুদ্দিন বাজারে বাজার মনিটরিংয়ে বিভিন্ন অসংগতি পায়। একইভাবে নগরীর ফলের আড়ত ও পাইকারী দোকানে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন প্রকার অসংগতি পায়। তাদেরকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) নগরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে বাজার মনিটরিং করেন জেলা প্রশাসন টিম। এ সময় ৬ প্রতিষ্ঠানকে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় বিক্রয় রশিদ না রাখার অভিযোগে মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আজমির ভান্ডারকে ৩ হাজার, ফারুক ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর সরাসরি ডিও/এসও বিক্রির দায়ে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার, দ্বীন এন্ড কোম্পানিকে ৫ হাজার এবং এলাচের বৃহত্তম আমদানিকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ এন্ড কোম্পানিকে আমদানি মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি বলেন, বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা যায় শুল্কসহ এলাচের দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা হতে পারে, সেখানে পাইকারি বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ২৩০০ থেকে ৩০০০ টাকায়।
এছাড়াও বেশ কিছু মসলার দাম বেশী আছে বাজারে। আমরা চেষ্টা করছি দাম বাড়ার কারণটি খুজে বের করার জন্য। বারবার হাতবদল বা ডিও/এসও বিক্রিও একটি কারণ হতে পারে। আজ সামান্য জরিমানা করা হয়েছে, এরপর আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রামের বাজারকে কোন ভাবেই অস্থিতিশীল হতে দেয়া হবে না।
জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান সামনে আরো বাড়বে। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বক্কর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল। তবে বাজার মনিটরিং কোন কাজে আসছে না বলে মন্তব্য করেন রিয়াজুদ্দিন বাজারের রফিক উদ্দিন ফলমন্ডির কাজী সেলিম ও খাতুনগঞ্জের শওকত হোসাইন নামের ভোক্তা।
চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম ফলের বাজার সহনীয় রাখবেন বলে গণমাধ্যমে বল্লেও ঠিক করেন উল্টোটা। চট্টগ্রাম ভোক্তা পরিষদের দাবি, ছোলা, মসলা, ভোজ্য তেল, ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন রমজান নির্ভর পণ্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা জন্য। ডলার সংকট ও এলসির ভূত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব বলে ব্যবসায়ীরা একটি কথা বলে যাচ্ছেন।
টিএইচ