রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

বাজিতপুরে সেতু নির্মাণ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বাজিতপুরে সেতু নির্মাণ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে পৌর সদরের আগরপুর সড়কে নির্মিত ২৫ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রিজ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি। সেতুটি বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাজিতপুর উপজেলার প্রায় লাখো মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এ সেতুটি নির্মিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি লাখো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে দিয়েছে। উপজেলার মানুষের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। 

সেতু চলাচলের উপযোগী হওয়ার পর থেকেই এ সেতুটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সী মানুষের আগমন ঘটছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু নির্মাণের ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের। বাজিতপুর উপজেলার সঙ্গে আগরপুরের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এক্ষেত্রে সেতুটি স্থানীয়দের জন্য নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। এছাড়া সেতুটি উদ্বোধনের পর উপজেলার অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙা হবে।

কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাজিতপুর উপজেলার আগরপুর সড়ক এলাকায় ২৫ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজটি (প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজ) প্রজেক্টের আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাটিবাংলা এন্টারপ্রাইজ এ ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করে গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে। ব্রিজের চুক্তিমূল্য ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৫ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজ করায় নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সেতুর কাজ শেষ হয়েছে।

আবুল হাসেম নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সেতু না থাকায় প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো। সেতু হওয়ায় এখন এসব থেকে মুক্তি পাবো। ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, এই সেতু উপজেলার অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিবলী বলেন, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুর নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেতু নির্মাণের কাজ শেষ। সড়ক পথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উপজেলা সদরের মানুষের কোনো প্রতিবন্ধকতা আর রইল না। এলাকার তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে এ সেতু। এছাড়াও বাজিতপুর উপজেলাকে একটি আধুনিক মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জি. মো. আমিরুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ের আগেই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে ব্রিজটি। তবে যানচলাচলের জন্য ব্রিজ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ব্রিজটি উন্মুক্ত হওয়ায় বাজিতপুর উপজেলার মানুষের যোগাযোগে সময় ও খরচ কমেছে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। সেতু নির্মাণ কাজের গুণগত মান ভাল হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

টিএইচ