হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ প্রায় ৩৮ বছর পর নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রথম নবজাতকের জন্ম হয়েছে। গত সোমবার প্রথমবারের মতো এই হাসপাতালে সিজার অপারেশন করা হয়।
জানা যায়, ১৯৮৫ সালে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।
এরপর বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নিলেও সিজারিয়ান অপারেশনের সুযোগ তৈরি হয়নি। কিছুদিন আগে একজন গাইনি জুনিয়র কনসালট্যান্ট হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সুযোগ তৈরি হয়।
উপজেলার আসমা ইউনিয়নের লাউফা গ্রামের হিরা মিয়ার স্ত্রী আমেনা আক্তার সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। গত সোমবার বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র গাইনি কনসালট্যান্ট ডা. ইশরাত জাহান স্বর্ণা ও মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সাইকুল ইসলাম এবং ডা. তন্নী হাওলাদার সিজারটি সম্পন্ন করেন।
এসময় অ্যানেস্থেসিয়া দেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট ডা. ফয়জুল আলম। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমানে নবজাতক ও তার মা সুস্থ রয়েছেন।
বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হাসপাতালে প্রথমবারের মতো সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হয়েছে। মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছে। এখন থেকে গর্ভবতী মায়েরা প্রয়োজনে নিয়মিত সিজার করতে পারবেন বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
হাসপাতালে সিজারিয়ান পদ্ধতি চালু হওয়ায় নবজাতক সন্তান ও তার পরিবারকে অভিনন্দন জানাতে হাসপাতালে যান বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি সানজিদা চৌধুরীসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা।
টিএইচ