সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

বালুর বদলে ইটভাটার পোড়া মাটি দিয়েই এলজিইডির রাস্তা!

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

বালুর বদলে ইটভাটার পোড়া মাটি দিয়েই এলজিইডির রাস্তা!

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বালুর বদলে ইটভাটার পোড়া মাটি দিয়ে সড়ক পাকাকরণের কাজ চলছে— এমন অভিযোগ উঠেছে মেসার্স জিল্লুর রহমান এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ওই কাছে নিম্নমানের খোয়া ও ৩ নম্বর ইট দিয়ে রাস্তার এজিং দেয়া হয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মহেশপুর উপজেলার নাটিমা বাজার-শ্রীরামপুর পর্যন্ত  পুরাতন সড়ক পাকাকরণ কাজ চলছে। সেখানে বালুর পরিবর্তে ইটভাটার পোড়া মাটি (রাবিশ) ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারসহ নানা অনিয়মেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার মেসার্স জিল্লুর রহমান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ সড়কটি নির্মাণ করছে।

সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মহেশপুর উপজেলার নাটিমাবাজার-শ্রীরামপুর সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাভুক্ত। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯০ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮৭২ মি. সড়ক উন্নয়নকাজ পেয়েছে এলজিইডির তালিকাভুক্ত ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নাটিমা বাজার তেতুলতলা দিয়ে শ্রীরামপুর পর্যন্ত সড়কটির নির্মাণকাজ চলছে। 

তবে সড়কটির নির্মাণকাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।  তারা রাস্তা থেকে পুরাতন ইটের সলিং তুলে সেগুলো ভেঙেই খোয়া হিসেবে ব্যবহার করছে। আর রাস্তা নির্মাণকাজে বালু ব্যবহার না করে ইটভাটার পোড়া মাটি এনে ব্যবহার করছে।

নাটিমা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মাস্টার বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে যশোরে চিকিৎসাধীন। এলাকাবাসী বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ইঞ্জিনিয়ারকে জানাই। তিনি আমাকে বলেন জেলা স্যাররা এসে দেখে গেছেন। রাস্তায় কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। কিছু সমস্যা ছিল, তা ঠিক করে নেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, বালুর বদলে যদি পোড়া মাটি ব্যবহার হয়, তাহলে রাস্তাটি টেকসই হবে কি না আপনারাই ভালো জানেন।

কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান বলেন, ইস্টিমেট অনুযায়ী ১০ ইঞ্চি বালুর ওপর খোয়া ও বালু মিশিয়ে বেড তৈরি করা হয়েছে, যা জেলা স্যাররা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে  গেছেন। এখানে কোনো নিম্নমানের কাজ হচ্ছে না, আমিও ৫০ মিটার পরপর বেশ কয়েক জায়গায় খুঁড়ে দেখেছি, খোয়ার সঙ্গে রাবিশ বা মাটি পাইনি। 

এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশের কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

টিএইচ