বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ভেঙে দিল এলাকাবাসী

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ভেঙে দিল এলাকাবাসী

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রামতনু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ইটের দেয়াল ও ইট ভেঙে ফেলেছে। 

রোববার (১৫ সে‌প্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণ করে ভালোমানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে নতুন করে পুনরায় ভবন নির্মাণের কথা জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার রামতনু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। মাঠের পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে নিম্নমানের ইট। আর সেই ইট দিয়ে ভবনের কাজ করছে ঠিকাদারি  প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের ইট দিয়ে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও তার তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ করছে। 

এতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে এসব নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের দেয়াল হাত ও পা দিয়ে গুড়িয়ে ভেঙে ফেলে দেয়। এসময় স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে কাজ বন্ধ রাখেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়টির একাডেমিক ভবনের কাজ শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে কাজ শুরু করেছে। 

আমরা বাঁধা দিলেও প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো গুরুত্ব দেয়নি। তারা অনিয়ম করে কাজ চালিয়ে আসছিল এতদিন। একারণে আমরা কোনো প্রতিকার না পেয়ে এলাকাবাসীরা সবাই মিলে বিদ্যালয়ের ভবনে নিম্নমানের ইট দিয়ে তৈরি দেয়াল ভেঙে দিয়েছি এবং এসব ইট, বালু অপসারণ করে ভালো ভাবে কাজ করার দাবি জানাচ্ছি। 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার মো. সবুর হোসেন বলেন, এখানে নিম্নমানের ইট দিয়ে স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। এলাকাবাসী তা ধরে বাঁধা দিয়েছেন। আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। নিম্নমানের ইট অপসারণ করে তারপর নতুন ইট এনে আমরা কাজ শুরু করব। তাছাড়া আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার। আমার দায়িত্ব ঠিকাদারের সব মালামাল দেখাশোনা করা। 

রামতনু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী যে, অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। স্কুল বন্ধ ছিল। সেই সুযোগে ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের ইট এনে কাজ শুরু করেছে। আজকেই এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, আমার স্কুলে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ হচ্ছে। পাঁচবিবি প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক বলেন, রামতনু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুলের কোনো কাজ হবেনা। ভালো মানের সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।

টিএইচ