বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post
বর্ষার আগমন

বেড়ায় জমে উঠেছে চাঁই কেনা-বেচার ধুম

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

বেড়ায় জমে উঠেছে চাঁই কেনা-বেচার ধুম

চলতি বর্ষা মৌসুমে পাবনার বেড়া উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে জমে উঠেছে চাঁই কেনা-বেচার ধুম। এ সময়ে উপজেলার জলাশয়গুলোতে দেখা মিলবে হরেক রকমের দেশি প্রজাতির টেংরা, পুটি, খলিশা, বাইন, শিং, মাগুর, টাকি, চিংড়িসহ ইত্যাদি মাছ। 

আর এসব ছোট জাতীয় মাছ ধরতে মৎস্যজীবীরা ব্যবহার করে থাকেন, ‘বাঁশের তৈরি চাঁই বা দুয়ারী’ (ফাঁদ)। এই শিল্পকে কুটির শিল্পের সাথে তুলনা করেন হস্তশিল্পরা। তবে এ বছর আষাঢ়ের শেষ প্রান্তেও অনাবৃষ্টির কারণে চাঁইয়ের চাহিদা কম থাকায় মুখের হাসি মলিন হয়ে গেছে চাঁই শিল্প কারিগরদের। বেড়া বাজারের পাটপট্রিতে সপ্তাহে শনি এবং মঙ্গলবার দুইদিন চাঁইয়ের হাট বসে। 
]
গত শনিবার সরেজমিন হাটে ঘুরে দেখা যায় , বেড়া উপজেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কেউ কাঁধে করে, কেউ আবার বিভিন্ন যানবাহনে করে চাঁই বিক্রি করতে এসেছে। এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি এবং খুচরা ক্রেতারাও হাটে ভিড় করছেন। 

হাটে কথা হয় চাঁই বিক্রেতা পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া উপজেলার সিলন্দা গ্রামের আজমত আলির সাথে।  তিনি জানান, আমাদের সাঁথিয়া উপজেলার বহু পরিবার চাঁই-দোয়ারী তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বছরের ফাল্গুন মাস থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত তারা এসব মাছ ধরার উপকরণ সামগ্রী তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। আর বছরের বাকী ছয়মাস তারা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন। 

তিনি আরো জানান, চাঁইয়ের সাইজ এবং প্রকারভেদে মাঝারি সাইজের ছয়টি চাঁই বিক্রি হয় ২ হাজার ৮শ টাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাদের হিসাব অনুযায়ী ছয়টি চাঁই তৈরি করতে বাঁশ এবং সুতোসহ খরচ হয় ৪শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু ছয়টি চাঁই তৈরি করতে যে সময় এবং শ্রম ব্যয় হয় সে তুলনায় এ লাভ কিছুই নয় বলে চাঁই কারিগররা দাবি করেন। 

আরেক কারিগর আ,রশিদ জানান বর্তমান যে হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সে তুলনায় চাঁইয়ের দাম নাই বললেই চলে। দীর্ঘসময় এবং অতিরিক্ত শ্রম দিয়েও আমাদের না পোষানোর ফলে অনেকেই এ শিল্প ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। তবে সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা  এবং কম সুদের ঋন পেলে এ শিল্পকে আমরা টিকিয়ে রাখতে পারব।

টিএইচ