পাবনার বেড়া উপজেলায় যমুনার নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় গত এক সপ্তাহে দেড় শতাধিক বিঘা ফসলি ও আবাদি জমি, ৭৫টি বসতবাড়িসহ বহু গাছ-পালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের চর নাগদাহ্ গ্রামে নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা, ছাত্তার বেপারী, ওমর মোল্লাসহ স্থানীয়রা জানান গত এক সপ্তাহে এ এলাকায় প্রায় ৪৫টি বসত-ভিটা, দেড় শতাধিক ফসলি ও আবাদি জমি, গাছ-পালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অনেকেই ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে আগে থেকেই ঘর ভেঙে নিয়ে অন্যত্র নিরাপদ দূরত্বে চলে যাচ্ছেন। আবার নদী ভাঙা অনেক মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে এলাকার উঁচু জায়গা ও বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। চর নাগদাহ্ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, নদীর প্রচন্ড ভাঙনে তার বিদ্যালয় ও আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি এখন হুমকির মুখে।
চর নাগদাহ্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আয়নাল হক ও চর সাঁড়াশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আ. রাজ্জাক বলেন, নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে তাদের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি মাদরাসা মসজিদ ও চর নাগদাহ্ ও যমুনা বাজার এখন হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, নদীর ভাঙন যদি আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং দীর্ঘমেয়াদী হয় তাহলে আরো বসতি ও বিস্তৃর্ণ জমিজমাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
টিএইচ