সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫
ঢাকা সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১
The Daily Post

ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 

ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান

ঠিকাদারের গাফলতির কারণে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ।

নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির অযুহাতে বছরের পর বছর পড়ে আছে নির্মাণকাজ। মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ করে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। বন নির্মাণ সম্পন্ন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও ঠিকাদারের কাছে বারবার ধরনা দিলেও কাজ হচ্ছে না। শ্রেণিকক্ষের সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান করাচ্ছেন। বেশি সমস্যায় পড়ের বৃষ্টির মৌসুমে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার ২০২১ সালে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বরাদ্দের পরিমাণ ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ফাউন্ডেশন চারতলা থাকলেও এখন নির্মাণ করা হবে একতলা। তবে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদার বারবার কাজের সময় বাড়ানোর আবেদন করে সময় ক্ষেপণ করেন। কাজে বিলম্ব হওয়াতে ভোগান্তিতে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে আরও জানা যায়, বিদ্যালয়ে একটিমাত্র পুরোনো পাঁকা ভবন রয়েছে। এতে তিনটি কক্ষ আছে, ওসব কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ। পাঠদান চলার সময় গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দশম শ্রেণির কক্ষে সিলিং ফ্যান পড়ে দুজন শিক্ষার্থী আহত হয়। ক্লাস পরিচালনার জন্য শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে। 

শিক্ষার্থীর বলেন, ‘নবম ও দশম শ্রেণির মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার ক্লাস করার সময় অতিরিক্ত কক্ষের প্রয়োজন হয়। তখন আমাদের বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠেও ক্লাস করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন বলেন, বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এ এলাকার মধ্যে ঐতিহ্য বহন করেন। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে ঠিকাদার ভবনের ৬০ শতাংশ কাজ করে বন্ধ রেখেছেন বছরের পর বছর। আমি শ্রেণিকক্ষের সংকটের জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও ঠিকাদারকে বলা হলেও তিনি কাজ করছেন না। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই যাতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয় এবং বিদ্যালয়ের শ্রেণি সংকট কেটে যায়।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মো. সেলিম মিয়া বলেন, যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে, সেই পরিমাণ বিল উত্তোলন করতে পারিনি। এখন যথাযথ বরাদ্দ নেই। তবে কাজ ফেলে রাখলে ঠিকাদারেরই লস হয়। তবে অফিসে কাজের পে-অর্ডার দিয়ে রাখা হয়েছে। আমি দুই তিনদিনের নতুন ভবনের বাকী কাজ শুরু করবো।

পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোশফিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হবে।

টিএইচ