দালালদের খপ্পরসহ বিভিন্নভাবে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত আটকা ছিলেন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলােদেশে আসেন।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার জয় হরি রায়ের স্ত্রী জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনা জেলার কুদরত আলীর মেয়ে মোছা: বিউটি, চাঁদপুর জেলার আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন, যশোর জেলার মো: সুবহান মিয়ার মেয়ে বিনা বেগম, একই জেলা মো: আজাদ শেখের ছেলে শেখ সাদি, নওগা জেলার মো: শাহীর আলীর মেয়ে শাহিনা বেগম, জামিলপুর জেলার মো: নরুল ইসলামের মো: শামীম মিয়া ও তার ভাই সোহান মিয়া, একই জেলার আকবর আলীর ছেলে মো: ফারুক হোসেন, একই জেলার মো: ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, ঝালকাটি জেলার বিল্পব চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অধিকারী। অপেক্ষমাণ স্বজনদের কাছে তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এসময় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অধীনে তাদেরকে জরুরী সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সেলিং সেবা ও নগদ দুই হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ম্যানেজার সজিব কুমার পান্ডে, ডেপুটি ম্যানেজার শায়লা শারমিন ও আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার তাদের হাতে এসব তুলে দেন।
এ বিষয়ে ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, :১২ জন বাংলাদেশী অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করার পর কারাভোগ শেষ করে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশী নাগরিকদের হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ত্রিপুরাস্ত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মাহমুদ, প্রথম সচিব মো: রেজাউল হক চৌধুরী,প্রথম সচিব আল আমিন জামিল, আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান প্রমখ ।
উল্লেখিত ১২ জন বাংলাদেশী নাগরিক ত্রিপুরা রাজ্যের স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় এবং পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আগরতলাস্থ ক্ষণস্থায়ী আটক কেন্দ্র ও জহরলাল নেহেরু বালিকা নিবাসে ছিলেন বলে জানা গেছে।
টিএইচ