ময়মনসিংহের ভালুকায় বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে গিয়ে একটি জুয়েলারি দোকান লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় স্থানীয়রা ৫ ব্যক্তিকে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি শুক্রবার (৩ নভেম্বর) উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল মেম্বারের সাথে প্রতিবেশী আব্দুল হাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের হিসেবে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জমি জবরদখল করতে আসে একদল লোক।
ওই সময় তারা জমির চারপাশে থাকা টিনের বেড়া গুড়িয়ে দেয়। পরে ফেরার পথে তারা পাশের বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সের মালিকের ভাই রিফাদকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দোকান খুলে নগদ টাকাসহ সোনা-রুপা লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় স্থানীয়রা খোঁজ পেয়ে হামলাকারীদের ঘিরে ফেলেন এবং উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের আবদুস ছালামের ছেলে সাকিল আহাম্মেদ, মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন, পাড়াগাঁও সিড়িরচালার আতাউর রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম, জয়নাল আবদীনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও পাশের সখিপুর উপজেলার ছোটপাথার গ্রামের ইয়াম উদ্দিনের ছেলে নাছির উদ্দিনকে আটক করে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের থানায় নিয়ে আসে।
মোস্তফা মেম্বার জানান, আব্দুল হাই লোকজন নিয়ে তাদের জমি দখল করতে আসে। এ সময় তার জমির টিনের বেড়া ভাঙচুর ও পাশের একটি স্বর্ণকারের দোকানে লুটপাট চালানো হয়। ওই সময় ৫ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আব্দুল হাই হামলা ও লুটের ঘটনাটি অস্বীকার করে জানান, মোস্তফা মেম্বারের সাথে কিছু জমি নিয়ে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় গত ২২ অক্টোবর তার জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় বেশ কিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়।
বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত মাজাহারুল ইসলাম রানা জানান, হামলাকারীরা তার ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দোকানের সুকেইজ ও অন্য স্থানে ভাংচুর চালিয়ে নগদ টাকা এবং সোনা ও রোপা লুটে নিয়েছে।
এ ঘটনায় মোস্তফা মেম্বারের ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সের মালিক মাজাহারুল ইসলাম রানা বাদি হয়ে মডেল থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, ওই ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগমূলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ