টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে চলতি বছরে ১ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে ৯০ হাজার মন বাদাম উৎপাদন হয়েছে। এখানকার বালি মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
প্রতিবছর বন্যা পরবর্তী সময়ে যমুনার বুকে জেগে উঠা চরে বাদামের চাষ করেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। চলতিবছরে বন্যায় উপজেলার অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যমুনার জেগে উঠা চরে বাদাম চাষ করেন তারা। বাদাম চাষ সহজ ও লাভজনক। তাছাড়া বাড়তি সার ও সেচের প্রয়োজন হয় না।
সরজমিনে যমুনা তীরবর্তী উপজেলার বৃহত্তম গোবিন্দাসী হাটে গিয়ে দেখাযায়, প্রতি মন বাদাম ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের যমুনা চরাঞ্চলের বাদাম চাষি মজনু মিয়া, আজগর আলী, আমজাদ আলীসহ আরো অনেকে বলেন- আমরা প্রতি বছর যমুনা চরাঞ্চলে বাদামের চাষ করে থাকি। অন্য বছরের চেয়ে এবছর বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে বাদামের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি। এবছর বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মন বাদাম হয়েছে। তারা আরো বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে আমাদের উন্নতমানের বাদাম বীজ ও সার বিতরণ করেছেন। এছাড়া কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।
বাদামের মহাজন ইব্রাহিম বলেন, এবছর বাদামের চাহিদা বেশি থাকায় গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বাদাম কিনতে হচ্ছে আমাদের। হাটগুলোতে বাদামের আমদানি অনেক বেশি। বর্তমানে আমরা প্রতি মন বাদাম ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায় আমাদের কিনতে হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির দৈনিক আমার সংবাদকে জানান, আমাদের যমুনা চরাঞ্চলের বালি মাটি বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এবছর উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের ১ হাজার ৭শ হেক্টর জমির বাদাম চাষ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৫৭০ টন।
টিএইচ