কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়া ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করা হয়।বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন দুর্ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে নজরুলের মৃত্যু হয়। তিনি নরসিংদীর জেলার বেলাবো উপজেলার সররাবাদ গ্রামের দর্শন মিয়ার ছেলে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ায় থাকতেন নজরুল।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরিবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি ছিল বলেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দুর্ঘটনা ঘটত না। এতে মানুষের ক্ষতিও হতো না।
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি ভাইকে হারিয়েছি। অনেকে পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সদস্যদের হারিয়েছেন। আমরা কেউ কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের আর ফিরে পাবো না। কিছু মানুষের খামখেয়ালির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কোনো দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি হয় না। শাস্তি হয় না বলেই অবহেলা বাড়ছে। শাস্তির আওতায় আনার জন্যই মামলাটি করেছি।’
গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভৈরব রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগনালে এলাকায় এগারসিন্দুর ও চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক। এ ঘটনায় লোকোমাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী লোকোমাস্টার আতিকুর রহমান ও গার্ড আলমগীর হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
টিএইচ